ইউক্রেন সংকটে মধ্যস্থতার আগ্রহ বাড়ছে

Share Now..


ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে দুই দেশ এমন প্রস্তাবে এখনও কোনো সাড়া দেয়নি। খবর ডয়চে ভেলে। চরম বিতর্কিত এক জোট সরকার গড়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন। তার সরকারের কিছু পদক্ষেপ দেশে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েল সফরে গিয়ে অধিকৃত এলাকায় বসতি সম্প্রসারণের প্রকাশ্য বিরোধিতা করছেন। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রেও নেতানিয়াহু প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। বিশেষ করে রাশিয়ার হামলা সত্ত্বেও ইসরায়েল আক্রান্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে সক্রিয় সহায়তা না করায় ক্ষোভ বাড়ছে। ইউক্রেনের ইহুদি ধর্মাবলম্বি প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি ইসরায়েলের বিগত সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকারও সমালোচনা করেছিলেন।সিএনএন সংবাদ নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সংকট সমাধানে নিজেকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে একমাত্র দুই পক্ষ চাইলেই তিনি সেই ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনকেও সেটা চাইতে হবে। নেতানিয়াহু আরও মনে করেন, মধ্যস্থতার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও সময় সৃষ্টি হলে তবেই সেই চেষ্টা চালানো উচিত। বিরোধী নেতা হিসেবেও তাঁকে নাকি এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ইউক্রেন নেতানিয়াহুর পূর্বসূরি নাফতালি বেনেট-কে এমন অনুরোধ করেছিল। বেনেট অবশ্য জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেন নি। নেতানিয়াহু ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিষয়টিও বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেন সংকট সমাধানে আচমকা মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রাজিলের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার সম্ভাবনা নাকচ করে বরং মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালাতে চান তিনি। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ঠিক পর বিরোধি নেতা হিসেবে তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও দায়ী করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুলা অবশ্য ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলকে রাশিয়ার ভুল হিসেবে মেনে নিয়েছেন।ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। অদূর ভবিষ্যতে তিনি আবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। পুতিনও নাকি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ড থেকে রুশ সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার না করলে কোনো কূটনৈতিক সমাধানসূত্র দেখছে না পশ্চিমা বিশ্ব। তাছাড়া আলোচনার সিদ্ধান্ত একমাত্র ইউক্রেনই নিতে পারে বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমা নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *