ইউরোপের হাতছানি সানজিদার

Share Now..

নারী ফুটবলে দ্যুতি ছড়ানো বাংলার ফুটবলের হার্টথ্রব সানজিদা আক্তারকে ইউরোপে খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু এত দূরের দেশে খেলতে যেতে রাজি নন সানজিদা। ইউরোপে খেলার আমন্ত্রণ কি ফিরিয়ে দিয়েছেন? সানজিদার সাফ জবাব, ‘আমি একা ইউরোপে যেতে রাজি না। একা একা যাব না। বলে দিয়েছি, যদি আরও দুই-একজনকে নেওয়া হয়, তাহলে ভেবে দেখব।’ 

ইউরোপের মাটিতে খেলার সুযোগ হেলাফেলা করছেন সানজিদা। দুই দেশ থেকে আমন্ত্রণ এসেছে, সেটা লুফে না নিয়ে উল্টো শর্ত দিয়েছেন। সানজিদা বলেন, ‘আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেখানে আমি খেলতে রাজি কি না, জানতে চেয়েছে।’ 

সানজিদা বলেন, ‘আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের প্রথম বিভাগ লিগে খেলার কথা বলেছিল। আমি আর এখন সাড়া দিচ্ছি না। ভারতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলতে গিয়ে বুঝেছি, একা একা কঠিন সময় পার করতে হয়। আমাদের দেশে আরো ভালো ফুটবলার রয়েছেন, ইউরোপের একটা এজেন্ট, তাদের বলছি আমি একা যাব না, যদি আর কাউকে নেন তাহলে কথা হবে।’ কার নাম বলেছেন সানজিদা? তিনি বলেন, ‘আমি মারিয়ার কথা বলেছি, মনিকার কথা বলেছি। ওরা বলেছে দেখবে।’ এ ধরনের শর্ত দিলে এজেন্ট পিছিয়ে যাবে।

দেখবে বলে সরে যাবে। সানজিদা বলেন, ‘আমার কিছু করার নেই। আমার পক্ষে একা যাওয়া সম্ভব না।’ এত বড় একটা খবর চেপে রেখেছিলেন সানজিদা, প্রকাশ করেননি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলা চলাকালীনই যোগাযোগ হয়। সানজিদা জানালেন, ইউরোপের অনেক দেশই এখন বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ওপর খোঁজ-খবর রাখছে।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জার্সি গায়ে সাবিনাদের দল কিকস্টার্টের বিপক্ষে ৪০ গজ দূর থেকে সেটপিসে দর্শনীয় গোল করেছিলেন সানিজদা। বল বাতাসে ভেসে গিয়ে জালে ঢুকে যায়। চোখ ধাঁধানো সেই গোল ফুটবল দুনিয়ার অনেক দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। সানজিদা বললেন, ‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলতে দেখে এজেন্টের ভালো লেগেছে।’

ইউরোপের যেসব দেশে নারী ফুটবলের খেলা হয়, বিদেশি ফুটবলারদের জন্য দুয়ার খোলা তারা বিদেশি খেলোয়াড় নিতে এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। সানজিদা বলছিলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম। সেখানে অস্ট্রেলিয়া, জাপানের বিপক্ষে খেলেছিলাম। সেই খেলাগুলো ইউরোপের এজেন্টরা দেখেছে। তারাই খবর দিচ্ছে এখন।’

নেপালে নারী সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সানজিদারা যখন বাংলাদেশে ফেরেন, তখন বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলে ফেরার পথে পথে অভিনন্দনে ভেসেছেন। খেলোয়াড়েরা হুড খোলা বাসে চড়ে ফেরার পথে পথে মানুষ দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিল। রাস্তায় রাস্তায় যানবাহন থেমে গিয়েছিল, সেই সব ঘটনা আন্তর্জাতিক ফুটবল এজেন্টরা দেখেছেন জেনেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *