ইতালিয়ান সিনার গড়লেন ইতিহাস

Share Now..

ফ্লোরিডায় মায়ামি গার্ডেনসের হার্ড রক স্টেডিয়ামে গত পরশু ইতিহাস গড়েছে ইতালিয়ান তরুণ টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার। মায়ামি ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে দাপট দেখিয়ে হারিয়েছেন বুলগেরিয়ান গ্রিগর দিমিত্রভকে। আর তাতেই টুর্নামেন্টটিতে গড়ে ফেলেন ইতিহাস পাশাপাশি প্রথম বারের মতো কোনো ইতালিয়ান টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এটিপি র‍্যাংকিংয়ে দুইয়ে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

এ সময় তিনি র‍্যাংকিংয়ে পেছনে ফেলেছেন স্প্যানিশ টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজকে। এখনো পুরুষ এককের এই তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছেন নোভাক জোকোভিচ।

রবিবার মিয়ামি ওপেনের ফাইনালে গ্রিগর দিমিত্রভের বিপক্ষে স্ট্রেট ৬-৩, ৬-১ গেমে জিতে ইতিহাস সিনার। ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন সিনার। এই প্রথম মায়ামি ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে কোনো ইতালিয়ান খেলোয়াড় জয়ের স্বাদ পেল। এছাড়া এই ফাইনাল জয়ে এটিপি র‍্যাংকিংয়েও লাফ দিয়েছেন তিনি। সবশেষ ২৬ ম্যাচের ২৫টিতেই জিতেছেন। উঠে এসেছেন ক্যারিয়ার সেরা দ্বিতীয় স্থানে। আর এটিপি বা ডব্লিউটিএ র‍্যাংকিংয়ের ইতিহাসে প্রথম ইতালিয়ান টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তিনি প্রথম।

এর আগে ১৯৭৪ সালে এটিপি র‍্যাংকিং প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এতদিন ইতালিয়ান খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ অর্জন ছিল চতুর্থ স্থান। ইতালিয়ান টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে র‍্যাংকিংয়ে সর্ব প্রথম চতুর্থ স্থানে পৌঁছেছিল আদ্রিয়ানো পানাত্তা (১৯৭৬ সালে), এরপর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ৩৫ বছর পর ২০১১ সালে এই স্থানে আসেন ফ্রান্সেসকা শিয়াভোন। তবে আর কোনো খেলোয়াড়ই র‍্যাংকিংয়ে এরচেয়ে বেশি এগুতে পারেনি। এবার তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সিনার।

এদিকে চলতি বছরটা দারুণ কাটাচ্ছেন ২২ বছর বয়সি এই তরুণ ইতালিয়ান টেনিস তারকা। বছরের শুরুটা তিনি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের মধ্য দিয়ে। আর এই মায়ামি ওপেন চলতি মৌসুমে তার তৃতীয় শিরোপা। মেলবোর্নে ক্যারিয়ারে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পর গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি জেতেন রটারডাম ওপেন।

গত পরশু মায়ামি ওপেন জয়ের পর সিনার বলেন, ‘আমার জন্য সপ্তাহটা দারুণ কেটেছে। কোর্টে বিভিন্ন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে নানারকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি।’ ফাইনাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দারুণ উজ্জীবিত ছিলাম। টেনিস বিশ্বের সব খেলোয়াড়ের মধ্যে দ্বিতীয় হতে পেরে আমি খুব খুশি। তবে, এটি কেবলই একটা সংখ্যা। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কোর্টে নিজের ম্যাচ পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারা এবং আমি সেটা করতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *