ইতিহাস সৃষ্টি করেই ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হলেন এমা রাদুকানু

Share Now..

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইউএস ওপেন ফাইনালে নারীদের লড়াইয়ে একদিকে ছিলেন এমা রাদুকানু, অন্যদিকে লায়লা ফার্নান্ডেজ। ব্রিটিশ বনাম কানাডিয়ান অষ্টাদশীর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত ব্রিটিশ তরুণীর। ম্যাচ জিতলেন ৬-৪, ৬-৩ ব্যবধানে। ঐতিহাসিক ফাইনাল বলা চলে। খেলতে খেলতে রক্তাক্ত হলেন। প্লাস্টার লাগিয়ে আবার খেললেন। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন এমা। ব্যাকহ্যান্ড, ফোরহ্যান্ড, ক্রস কোর্ট, বেস লাইন সার্ভ, এমা এদিন নিজের সেরা খেলা তুলে ধরলেন।

প্রতিপক্ষকে প্রথম সেটে দু’বার ব্রেক করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় সেটে লায়লা ফিরে আসার লড়াই চালালেন। ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচালেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য বাজিমাত রাদুকানুর।

টেনিস খেলার ইতিহাসে এই প্রথম কেউ বাছাই পেরিয়ে এসে গ্র‍্যান্ডস্লাম জিতলেন। ইউএস ওপেনের আগে এমার র‍্যাংকিং ছিলো ১৫০, উইম্বলডনে ফোর্থ রাউন্ডে উঠেই চমক দেখিয়েছিলেন তিনি। মাস দুয়েক পরে গ্র‍্যান্ডস্লামই জিতে ফেললেন! তাও পুরা টুর্নামেন্টে একটা সেটও না হেরে।

গত ৪৪ বছরে কোনো বৃটিশ নারীর গ্র‍্যান্ডস্লাম শিরোপা না জিততে পারার খরাও ঘুচিয়ে দিলেন বয়স মাত্র ১৮ পেরোনো এ টেনিস তারকা।

রাদুকানুর জন্ম কানাডার টরন্টোয়। তার বাবা ইয়ানের জন্ম রোমানিয়ার বুখারেস্টে। মা শেনিয়াংয়ের জন্ম চিনে। রাদুকানুর কেরিয়ারে তাই দুই দেশেরই টেনিস তারকা সিমোনা হালেপ ও লি না-র প্রভাব রয়েছে।

রাদুকানুর যখন দুই বছর বয়স তখন তার পরিবার চলে যায় ইংল্যান্ডে। পাঁচ বছর বয়সে টেনিস খেলা শুরু রাদুকানুর। উইম্বলডনের শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিলেও এবার তার সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল। ২২ বছর পর এই নিয়ে ওপেন এরায় দুই টিনএজার ফাইনালে খেতাবের লক্ষ্যে নেমেছিলেন অষ্টমবার। ইউএস ওপেনে শেষবার দুই টিনএজারের মধ্যে মহিলা সিঙ্গলস ফাইনাল হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সেবার সেরেনা উইলিয়ামস হারিয়েছিলেন মার্টিনা হিঙ্গিসকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *