ইথিওপিয়ার ঐতিহ্যবাহী লালিবেলা ‘তিগ্রাই বাহিনীর দখলে’
এফএনএস বিদেশ : ইথিওপিয়ার তিগ্রাই অঞ্চলের সশস্ত্র বাহিনীগুলো ঐতিহ্যবাহী লালিবেলা শহরের দখল নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই প্রত্যক্ষদর্শী। শহরটি পাথর কেটে বানানো কয়েকশ বছরের পুরনো গির্জার জন্য বিখ্যাত। ইথিওপিয়ার লাখ লাখ অর্থোডক্স খ্রিস্টানের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত লালিবেলার ওই গির্জাগুলো ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যেরও তালিকাভুক্ত। তিগ্রাই বাহিনীর সঙ্গে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্রদের লড়াই এখন তিগ্রাই ছাড়িয়ে পাশের দুই অঞ্চল আমহারা ও আফারেও ছড়িয়ে পড়েছে। লালিবেলা আমহারার নর্থ ওলো এলাকায় অবস্থিত। তিগ্রাই বাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানকার বাসিন্দারা পালাতে শুরু করেছে বলে দুই প্রত্যক্ষদর্শী বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন সেইফু জানান, তিনি বৃহস্পতিবার কয়েকশ সশস্ত্র ব্যক্তিকে শহরটির ভেতর হাঁটতে ও তিগ্রাইয়ের ভাষায় কথা বলতে দেখেছেন। লালিবেলার বাসিন্দারা আমহারিক ভাষায় কথা বলে। “সেনাবাহিনীর যে পোশাক দেখেছি আমরা এদের উর্দি সেরকম নয়,” টেলিফোনে বলেন সেইফু। তিনি জানান, বুধবার রাতে আমহারা অঞ্চলের বাহিনী স্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমহারার বাহিনী ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর মিত্র। “আমরা তাদের (আমহারা বাহিনী) থাকতে বলেছি। নিদেনপক্ষে তাদের কালাশনিকভ আমাদের দিতে বলেছি। কিন্তু তারা ওই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে এবং ৫টি অ্যাম্বুলেন্স, বেশ কয়েকটি ট্রাক ও গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। “আমার এক বন্ধু তাদেরকে শহরে থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিতে কাতর অনুরোধ জানিয়েছিল। পালানোর সময় তারা আমার ওই বন্ধুকেও গুলি করে মেরে যায়,” বলেছেন সেইফু। দাউইত নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিগ্রাই বাহিনী আসছে এ খবর পেয়েই তিনি লালিবেলা ছেড়ে পালান। “আমরা প্রায় শ’দুয়েক লোক পায়ে হেঁটে শহর ছাড়ি,” বলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী, দেশটির সেনাবাহিনী বা তিগ্রাই বিষয়ক সরকারি টাস্ক ফোর্সের মুখপাত্রদের তাৎক্ষণিক মন্তব্যও পায়নি তারা। তিগ্রাই বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।