ইবি রেজিস্ট্রারের অডিও ফাঁস; তদন্তে কমিটি চার সদস্যের কমিটি

Share Now..

ইবি প্রতিনিধি –

গত ১৪ মার্চ মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের ‘কণ্ঠসদৃশ’ অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। যার প্রেক্ষিতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

রবিবার (১৯ মার্চ) উপ-রেজিস্ট্রার (পিএস টু ভিসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

এতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খানকে সদস্য সচিব করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার।

কমিটির সদস্যদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত পৌনে বারোটায় ‘সাথী খাতুন’ নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে চার খণ্ড বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের ‘কণ্ঠসদৃশ’ একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস করা হয়। যেখানে ‘মঈন’ নামের এক ঠিকাদারের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কথা হয় তার।

ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডের একপ্রান্ত থেকে ঠিকাদার বলছেন, ‘স্যার আজকে তো জমা দিলাম কালকে ক্যাশ হবে।’ তো টাকাটা কখন, কিভাবে আপনাকে প্লেস হবে সেটা যদি একটু বলতেন, বললে প্রিপারেশন নিয়ে নিতাম আর কি।’

তখন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলছেন, ‘তিনটার সময় কুষ্টিয়ায় এসে দিতে পারবেন?’

এর জবাবে ঠিকাদার জানান, ‘তিনটার সময় পারবো না স্যার, সাড়ে চারটার সময় পারব। ব্যাংক থেকে সাড়ে চারটার সময় পাবো। চার লাখ টাকা পাবো, আপনার টোটাল টাকাটাই পাবো। পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে আপনাকে দিতে পারব। ’

এরপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তাকে বলেন, ‘ফোনে এসব বলার দরকার নাই।’

জবাবে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা স্যার। না, না! আমি সেইফ জায়গায় আছি স্যার।’

এরপর তাদের মাঝে আরও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। তাতে টাকা আদান-প্রদান সংক্রান্ত বেশকিছু আলাপচারিতা হয়েছে এবং ঠিকাদারের টাকা দিতে দেরি হওয়া, একইসাথে টাকা নিতে ঠিকাদারের জন্য ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসানের অপেক্ষা করার বিষয়টি কল রেকর্ডে বলতে শোনা গেছে।

এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (১৫ মার্চ) রেজিস্ট্রার ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

তবে ফাঁস হওয়া অডিওটি এডিট করা বলে দাবি করেছেন রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *