ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে গোলাগুলি, নিহত ৩
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এবার গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে লেবানন সীমান্তে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের সেনাদের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে একজন হিজবুল্লাহর সদস্য। গতকাল শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সংঘাতের এ ঘটনা ঘটে বলে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সেনারা ওই এলাকায় গোলা নিক্ষেপ করেছে। খবর আল জাজিরা।
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের লড়াই চলছে। লেবাননের শিয়া পন্থী হিজবুল্লাহ হামাসের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। পশ্চিমাদের অভিযোগ, ইরান এ সংগঠনকে সহায়তা দিয়ে থাকে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তারা ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লেবাননের হামলার পাল্টা আক্রমণ এটি। আকাশ প্রতিরক্ষার মাধ্যমে লেবাননের দুইটি রকেটও প্রতিহত করা হয়েছে। লেবানন থেকে রকেট হামলার পর ইসরায়েলের শহরগুলোতে সতর্ক সংকেতও বাজানো হয়।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ইসরায়েলের গোলাবর্ষণে সীমান্ত সংলগ্ন হোউলা শহরে দুজন এবং জেববায়ান গ্রামে একজন নিহত হয়েছেন। হোউলায় দুজন মা–ছেলে নিহত হয়। তারা দুজনই বেসামরিক নাগরিক। আর জেববায়ানে নিহত ব্যক্তি হিজবুল্লাহর সদস্য।
৭ অক্টোবর থেকে হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলছে ইসরায়েলের। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এর মধ্যে লেবাননের সীমান্ত এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর সঙ্গেও ইসরায়েলের থেকে থেকে লড়াইয়ের খবর জানা গেছে। এদিকে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরই গাজার খান ইউনুস এলাকায় ব্যাপক বোমা হমলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার পর গাজার আকাশ ধোঁয়ায় ভরে যায়। এসময় সেখানের বাসিন্দারা ঘরের বাইরে চলে আসে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মীরা জনিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির পর হামলায় ১৮৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছে অন্তত ৫৮৯ জন। তাছাড়া ২০টি বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।