ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতিতে অগ্রগতি

Share Now..

মার্কিন আলোচকরা গাজায় ইসরায়েলের হামাস নিধনের নামে সামরিক অভিযান দুই মাসের জন্য বন্ধ করার একটি চুক্তিতে অগ্রগতি করছে। মার্কিন প্রশাসনের দুই সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় বন্দী শতাধিক জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে এই যুদ্ধবিরতি হতে পারে। খবর এএফপির।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই কর্মকর্তা স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জানান, শান্তিচুক্তিটি দুইটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম পর্যায়ে, হামাসের হাতে অবশিষ্ট নারী, বয়স্ক ও আহত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরায়েল ও হামাস বিরতির প্রথম ৩০ দিনের মধ্যে বিস্তারিত কাজ করবে। এই পর্যায়ে  ইসরায়েলি সৈন্য ও বেসামরিকদের মুক্তি দেওয়া হবে। এই চুক্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় আরও মানবিক সহায়তার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চুক্তির শর্তাবলী এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসরায়েল ও হামাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

যদিও প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না, মার্কিন কর্মকর্তারা আশাবাদী যে এই ধরনের একটি চুক্তি সংঘর্ষের একটি টেকসই সমাধানের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক বিল বার্নসের আজ (২৮ জানুয়ারি) ফ্রান্সে ইসরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ও মিসরের গোয়েন্দা প্রধানের আব্বাস কামেলের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এ সময় তিনি জিম্মিদের মুক্তি ও প্রস্তাবিত চুক্তির রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি ও কাতারের শাসক আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে জিম্মি পরিস্থিতির উন্নতির ব্যাপারে ফোনে কথা বলেছেন। উভয় নেতাই মানবিক কারণে যুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী বিরতি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীতার ব্যাপারে একমত হন। তারা মনে করেন, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের কাছে জীবন রক্ষাকারী অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *