ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নতুন কমিটি পেয়ে উচ্ছ্বাসিত ছাত্রলীগ কর্মীরা

Share Now..

ইবি প্রতিনিধি –
দীর্ঘদিন পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়েছে। কমিটি পেয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত নেতা-কর্মীরা। মিছিল-মিটিংসহ সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া কমিটি আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলেছেন নেতা-কর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি ও জুয়েল রানা হালিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেননি।

পরে ২০১৯ সালে সম্মেলন ছাড়াই রবিউল ইসলাম পলাশ ও রাকিবুল ইসলাম রাকিব নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংসদ। এই কমিটির মেয়াদ প্রায় দুই বছর থাকলেও অর্থ লেনদেনসহ বেশকিছু অভিযোগে ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি তারা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে ব্যর্থ হন তারাও।

পরে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর পলাশ-রাকিব কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্র। এরপর ইবি শাখার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা ১৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে এসে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন।

দীর্ঘদিন পদশূন্য অবস্থায় থেকে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন ছাত্রলীগের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় জড়িত থাকলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না করা এবং নতুন কমিটি না আসায় হতাশ হন তারা।

দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনা শেষে ৭ মাস ২৩ দিন পর গত রবিবার (৩১ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল সিদ্দীকী আরাফাতকে সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় সংসদ।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ শহীদের স্মরণে দোয়া মাহফিল করে নতুন কমিটি। এসব প্রোগ্রামে নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক রিয়াদ বলেন, দীর্ঘদিন পর কমিটি হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। কমিটির কাছে চাওয়া থাকবে ত্যাগী ও যোগ্যদেরকে মূল্যায়ন করা, সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এবং কোন গ্রুপিং যেন না হয়।

আরেক ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন পাশা বলেন, নতুন কমিটির কাছে আমার একটাই চাওয়া ক্যাম্পাসে যেন প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা হয় এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের আনা হয়। এছাড়া প্রতিটা হল এবং ফ্যাকাল্টিতে কমিটির মাধ্যমে যেন সকল নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে নতুন সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোকে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য করার সুযোগ দেওয়া হবে না। সকলের সহযোগীতা নিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্রলীগের একটি অন্যতম শাখা উপহার দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সভাপতি ফয়সাল সিদ্দীকি আরাফাত বলেন, কেন্দ্র থেকে আমাদের উপর দায়িত্বটা পবিত্র আমানত স্বরুপ। আমরা এ আমানতের যথাযথ ব্যবহার করতে চাই। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সাংবাদিক সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *