উপকূল থেকে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ওড়িশা
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় দানা আরও ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে, ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে। আবহাওয়া অফিস বলছে, এ ঝড়ের ধাক্কা বাংলাদেশে সেভাবে লাগবে না, তবে উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশেই বৃষ্টি ঝরাবে দানা।
এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ওড়িশার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে দানা। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এটি ওড়িশা উপকূলের আছড়ে পড়েতে পারে। ঘূর্ণিঝড় দানার আগমন এবং তার জেরে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে ওড়িশার রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন থেকে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থায়ী-অস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওড়িশা রাজ্য সরকারের কর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ পূজারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সুরেশ পূজারী জানান, রাজ্যের ১৪টি জেলার ৩ হাজারেরও বেশি গ্রাম ও এলাকা ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব গ্রাম/এলাকা থেকে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই সরানো হবে। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানা শুক্রবার ভোরে মধ্যে ভিতরকনিকা ন্যাশনাল পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টা প্রায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। আইএমডি ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ‘২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস এবং ঢেউ শীর্ষে পৌঁছাবে।’
ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ২ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসসহ রাজ্যটিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটি হলে ওড়িশায় একটি বহুমুখী বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।
এই দূর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। তিনি বলেছেন, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে রাজ্যের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী ৩ থেকে ৪ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
Get ready to conquer the virtual battlefield Lucky Cola