এই ‘ক্ষত’ অনেক দিন মনে রাখবে রিয়াল মাদ্রিদ

Share Now..

জেদ্দায় কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন রাফিনিয়া। তখনও খানিকক্ষণের জন্য হলেও ২০১০ সালে ফিরে গিয়েছে বার্সা ভক্তরা। কেননা ২০১০ সালে নভেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৫-০ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। সেই ম্যাচে কিংবদন্তি লিওনেল মেসি আহত অবস্থায় যেভাবে মাঠ ছেড়েছিল। রোববার রাতে একই ভাবে মাঠ ছাড়েছে ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া। 

‘এল ক্লাসিকো’ মানে টানটান উত্তেজনা। ৯০ মিনিটের খেলা থাকে রোমাঞ্চ। আর যদি সেটি হয় শিরোপা নির্ধারণের ম্যাচ। তখন সেই উত্তেজনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। গেল পরশু রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে তেমনই এক রোমাঞ্চম ম্যাচ দেখল ফুটবল বিশ্ব। যেখানে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। যদিও এই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় লিড নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর রিয়াল মাদ্রিদের পুরো গল্পই ছিল হতাশায় ভরা।  ম্যাচের ২২ মিনিটে লামিন ইয়মালের দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফিরে কাতালানরা। চলতি বছরে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই গোলের দেখা পান ১৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তরুণ। তবে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে বার্সা গোলরক্ষক ওজসিচ সেজেসনি লাল কার্ডে কিছু স্বস্তি ফিরে মাদ্রিদ শিবিরে। ফ্রি কিক থেকে গোল করে রদ্রিগো দেখান আশার আলো। তবে ম্যাচের বাকি সময় শত চেষ্টা করেও বার্সা দূর্গভেদ করতে পারেনি এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা। মাঠ ছেড়েছে ৫-২ গোলের হার নিয়ে। তাতে স্প্যানিশ সুপার কাপে প্রথম দল হিসেবে ১৫বার শিরোপা উচিঁয়ে ধরে কাতালানরা। শুধু বার্সা নয়। এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে অনন্য গল্প লিখলেন হ্যান্সি ফ্লিক। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে ছয়টি ফাইনালে খেলে তার জয় শতভাগ। 

এমন দুর্দান্ত জয়ের পর শিষ্যদের নিয়ে গর্ব বোধ করেন হ্যান্সি ফ্লিক। তিনি বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়, স্টাফ ভক্তদের জন্য গর্বিত। এমবাপ্পের প্রথম গোলের পর ফিরে আসাটা দুর্দান্ত ছিল। আমরা এই জিনিসগুলি ভালো করেছি এবং এটি অবিশ্বাস্য ছিল।’ এছাড়াও ঐক্যবদ্ধকে সফলতার চাবিকাঠি মনে করেন এই জার্মান কোচ। বলেন, ‘আমরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমরা একসাথে প্রতিরোধ করেছি এবং একসঙ্গে আক্রমণ করেছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটাই ছিল আমাদের সফলতার চাবিকাঠি। আমাদের উদ্দেশ্য প্রতিটি খেলা থেকে শেখা এবং দিনে দিনে উন্নতি করা।’   অন্যদিকে এমন হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না রিয়াল মাদ্রিদ বস কার্লো আনচেলত্তি। তার মতে রক্ষণভাগ নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক ভাবে করতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা রক্ষণভাগে খারাপ করেছি। তারা সহজেই গোল খুঁজে পেয়েছিল এবং আমরা বড়-ছোট অনেক বল ব্লক করতে পারিনি।’ তবে ম্যাচ হারের পর সহজ-সরল স্বীকারোক্তি রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচের। তার মতে ভালো খেলে জয় পেয়েছে বার্সা। 

এছাড়াও সবশেষ এল ক্লাসিকোর প্রসঙ্গ টেনে ক্রোয়েশিয়ান এই তারকা আরও বলেন, ‘আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী যখন দুটি ম্যাচে নয়টি গোল করে তখন এটি ভালো কোনো বার্তা নয়। আমরা ভাবিনি যে আমাদের এমন একটি খেলা হবে। আমরা সমর্থকদের কাছে দুঃখিত। আমাদের এখন ঐকবদ্ধ হয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি নিশ্চিত যে আমরা পুরো মৌসুমে অনেক আনন্দ নিয়ে আসব। এখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *