‘এই জেনারেশন নিয়ে আমি খুব আশাবাদী’

Share Now..

শব্দচয়নের মাধুর্য ও সুরের জালে প্রায় তিন দশক ধরে সংগীতাঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন মিউজিশিয়ান ও ব্লুজ গিটারিস্ট শাফকাত আহমেদ দীপ্ত। চলমান পরিস্থিতি ও তার সংগীত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিশির রোয়েদাদ

মিউজিকে ভণিতা কম। একদম পিওর আমাদের ফোক। যেমন-লালন ফকির, শাহ আব্দুল করিম, হাছন রাজার গান। একদম সহজ সরল ভণিতা বিবর্জিত উপস্থাপন। ব্রজ মিউজিকও তাই। এই প্যাটার্নে শিল্পী খুব সহজ সরলভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরুন।

আপনার গানে কারো প্রভাব আছে? আপনার করা প্রিয় গানগুলো সম্পর্কে বলবেন?

যেসব গান দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছি, সেই সব গানের একটা প্রভাব তো থাকেই। যেমন-বাংলাদেশের ব্যান্ড, এলআরবি, মাইলস, দেশের বাইরে বিবি কিং, পিংক ফ্রয়েড, বিটলস ইত্যাদি। অসংখ্য গান করেছি-তা পছন্দের বলেই সময় দিয়ে গানগুলোর কাজ করেছি। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে কিছু গানের নাম-রং’, ‘একটা সরল অন্ত’, ‘তার ছিড়ে গেছে’, ‘চাঁদে নাপাক’ ইত্যাদি।

‘মন বুড়ো’ বিপ্লবী গানটির মূল মেসেজ কী?

মন বুড়ো মানে হচ্ছে যাদের মন বুড়ো হয়ে গেছে। এটা বয়সের সাথে সম্পৃক্ত না। চিন্তা দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত। গানটি লিখেছেন জাহিদ আহমেদ মুরাদ। ভোকাল ও কম্পোজিশন আমার। 

একই স্টেজে আইয়ুব বাচ্চুর সাথে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা কী?

আমরা যারা নব্বই দশকে বড় হয়েছি তারা বাচ্চু ভাইকে লিজেন্ড হিসেবে দেখেই বড় হয়েছি। ওনার সাথে পারফর্ম করা অবশ্যই আমার জীবনের অন্যতম একটি ঘটনা।

হিট গান আর ভাইরাল গানের মধ্যে পার্থক্য কী?

হুট করে যদি গান হিট হয়ে আবার হারিয়ে যায় সেটা আসলে হিট না, এক প্রকার ভাইরাল কনটেন্ট। কনটেন্ট আর গানের মধ্যে তো পার্থক্য থাকবেই।

দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার অভিমত জানতে চাই।

একটি পজেটিভ বিপ্লব হয়েছে আমাদের। চলমান কন্যা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ যেভাবে পাশে দাঁড়াচ্ছে-তা খুব আশার কথা। এই রেভ্যুলেশনের মাধ্যমে দেশ চলে যাবে অন্য একটি মাত্রায়, আমরা পাব একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।

ঢাকা ব্লুজ সোসাইটি সম্পর্কে জানতে চাই।

এটা একটি প্ল্যাটফর্ম। নিউইয়র্ক, শিকাগো, মস্কোতে যেমন ব্লজ সোসাইটি আছে। আমাদের ঢাকাতেও আছে। আমি এটা ফাউন্ড করেছি। এক সময় খুব কাজও করেছি। এখন সময়ের অভাবে অ্যাক্টিভিটিজ কমে গিয়েছে।

আপনার সংগীত জীবনের স্বর্ণালী সময় আর এখনকার সময় সম্পর্কে জানতে চাই।

২০০০-২০১০ সময়টাতে আমার অনেক সলো, মিক্সড অ্যালবাম রিলিজ হয়েছে। প্রচুর কনসার্ট করেছি। তখনকার সংগীতের প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট আলাদা। এখন ইউটিউবে আমার দীপ্ত অরণ্য’ চাইনলে মাঝে মাঝে গান রিলিজ করছি।

আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে কী বলবেন?

এখন গ্লোবাল সময়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাচ্ছে, আরো আগাবে। এই জেনারেশন টেকনোলজি অনেক ভালো বোঝে। ফলে এই জেনারেশনের মিউজিশিয়ানরা রেকর্ডিং এবং সাউন্ড ডিজাইনও ভালো করবে বলে আশা রাখি।

একটা সময় আপনাকে আর অর্ণব ভাইকে দর্শক-শ্রোতারা গুলিয়ে ফেলতেন, সেই বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কী?

অর্ণব আমার ছোটবেলার বন্ধু। এক সাথে অনেক কাজ করেছি। রুচি ও চিন্তা-ভাবনার দিক থেকে মিল আছে আমাদের। তখন তো অ্যালবামে ছোট একটা ছবি থাকত শুধু। তাই হয়তো শ্রোতারা গুলিয়ে ফেলতেন। অর্ণব অবশ্য আমার চেয়ে অনেক ট্যালেন্টেড। ও বাংলা গানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে অনেক দূর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *