একজন চাকরীচ্যুত নারীর আর্তনাদ \ আমার বৈধ চাকরিটি ফিরত পেতে চাই- প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার আকুল আবেদন

Share Now..

\ স্টাফ রিপোর্টার \
ঝিনাইদহ-৪ আসনের স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার এর প্রতিহিংসার শিকার ও রাজনৈতিক রোসানলে পড়ে একজন নারী মোছাঃ শামসুন নাহারকে জোরপূর্বক চাকরীচ্যুত করেছেন নলডাঙ্গা ভূষন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে। পরবর্তীতে চাকরীচ্যুত মহিলার পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকারের নিকট তার আবেদন আমার হারানো চাকরী ফেরত পেতে চাই। তখনকার ঘটনা পূর্ণ বিবরণ নি¤েœ প্রদত্ত হইল ঃ
অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত মহিলা বলেন, তার নাম ও ঠিকানাসহ পূর্ণ বিবরণ-মোছাঃ শামসুন নাহার, পিতাঃ মৃত ইসরাইল হোসেন, গ্রামঃ কাশিপুর, ডাকঘরঃ আলীগঞ্জ-৭৩৫০, উপজেলাঃ কালীগঞ্জ, জেলাঃ ঝিনাইদহ। সে নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ডের বিগত ১৭/১২/২০১০ ইং তারিখের সুপারিশ এবং ২৬/১২/২০১০ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পর্ষদের ০৯/২০১০ নং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারী বিধি অনুযায়ী তাকে “সহকারী শিক্ষক” (সমাজ-বিজ্ঞান) হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ইং ০১/০১/২০১১ তারিখে আমি বিদ্যালয়ে যোগদান করি এবং ২০১২ ইং তারিখ হতে এমপিওভুক্ত হয়ে ৩১/০৮/২০১৪ ইং তারিখ পর্যন্ত সরকারি বেতন ভাতার অংশ প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি সরকারী। হঠাৎ করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি (সাবেক এমপি আনার ও তার সমর্থিত সদস্যগণ) রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার জোরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলিয়ার রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার ও কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ছিলেন এমপির আজ্ঞাবহ। ফলে সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ প্রতিহিংসা বশত তাহাকে দিয়ে ২০/০৯/২০১৪ ইং তারিখে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র লিখে এবং তার উপর স্বাক্ষর নিয়ে ছিল। তারপর থেকে তাকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ করে দেয়। তাকে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন চাপে থানায় জিডি করতে দেয়া হয়নি। বিগত বছরগুলো সে এবং তার পরিবার বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারিরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। বর্তমানে সে এবং তার সন্তানাদি নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে কৈফিয়ত তলব, জবাবপত্র গ্রহণ, ব্যক্তিগত শুনানী ও আত্মপক্ষ সমর্থনের নিয়ম থাকলেও তাহা না মেনে এবং আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাকে রাজনৈকিত প্রভাব খাটিয়ে হেয়প্রতিপন্ন করে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছিল। পদত্যাগপত্রে দেখা যায় স্বাক্ষরের স্থানে কোন তারিখ লেখা নাই। আরও দেখা যায় তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওলিয়ার রহমান এর হাতে লেখা খসড়াটি এখনও বিদ্যমান আছে। সে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের নিকট তার উপর বিগত সরকারের এমপির অন্যায় ও নির্যাতনের এবং অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করায় সে তার বৈধ
চাকরিটি ফেরত পেতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *