‘একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই এই দেশকে পরিবর্তন করতে পারেন’
হাইতিতে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশজুড়ে চলছে বিদ্রোহী গ্যাংদের ধ্বংসযজ্ঞ। স্থানীয় সময় ১৯ মার্চ গ্যাং তাণ্ডবের শিকার হয়ে এক ডজনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ রাস্তায় পড়ে আছে। খবর বিবিসি।
এই হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি এক বিচারকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এর মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী অভিজাতদের কাছে সতর্কবার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা। তারা বুঝাতে চাইছে যে- প্রয়োজনে হাইতি স্থিতিশীলতার চেয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কাছাকাছি বেশি থাকে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল হাইতির পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেন। এসব হত্যাকাণ্ডকে পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক চলচ্চিত্র ম্যাড ম্যাক্সের সাথে তুলনা করেছেন তিনি।
জাতিসংঘ ধারণা করছে, রাজধানীর এতগুলো হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার কারণে, প্রায় ৩ হাজার গর্ভবতী নারী প্রসূতি যত্ন ছাড়াই সন্তান জন্ম দেওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
হাইতিজুড়ে মানবিক সংকট এখন চরমে। কিন্তু, এ পর্যন্ত সাহায্যের পরিমাণ দুঃখজনকভাবে ধীর। লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য জীবনের অত্যাবশ্যকীয় জিনিস- খাবার, পানি এবং নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ফারাহ অক্সিমা নামের এক নারী জানান, ‘কী করব বুঝতে পারছি না। শুধু দেশের পতন দেখছি। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই এই দেশকে পরিবর্তন করতে পারেন। কারণ আমি যেখানে বসে আছি সেখান থেকে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না।’