একাই দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচলেন পেরেজ
ভয়াবহ দাবানলে সপ্তাহব্যাপী পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য। লস অ্যাঞ্জেলস শহরের অদূরে সূত্রপাত হওয়া আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে একরের পর একর জমি। কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইটনের (এলাকা) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যেও বাড়ি ছেড়ে যাননি ট্রিস্টিন পেরেজ।
দাবানলের আগুনের শিখা প্রায় তার ক্যালিফোর্নিয়ার আলতাডেনার বাড়ির বেড়া জ্বালিয়ে দিচ্ছিল, ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তার পা অসাড় হয়ে পড়েছিল। এত কিছুর পরেও, পেরেজ তার বাড়ি ছাড়তে রাজি হননি। একাই লড়েছেন আগুনের বিরুদ্ধে। রক্ষা করেছেন নিজের ও প্রতিবেশীর সম্পদ।
৩৪ বছর বয়সী এই কাঠমিস্ত্রি মনে করেছিলেন যে, জীবন-হুমকির মধ্যেও তার অন্য কোনো উপায় নেই। চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় তাকে এবং তার প্রতিবেশীদের সরে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু পালানোর পরিবর্তে পেরেজ তার সম্পত্তি এবং এল মোলিনো অ্যাভিনিউয়ের পাশের প্রতিবেশীদের বাড়িঘর বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
পানি দেয়ার মতো পাইপও ছিল না তার কাছে। বাধ্য হাতের কাছে থাকা দুটি জলের পাত্র থেকে অনবরত পানি ঢা ঢালতে শুরু করেন আগুনে।
পেরেজ তার ড্রাইভওয়েতে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাড়ির সামনের উঠানে আগুন ধরে গেছে, পাম গাছগুলো জ্বলে উঠেছে – মনে হচ্ছিল যেন সিনেমার মতো কিছু একটা। আমি আগুন থামাতে এবং আমার বাড়িসহ প্রতিবেশীদের বাড়ি বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।’ অবশেষে তার একতলা হলুদ ডুপ্লেক্স বাড়িটি বেঁচে গেছে। পাশের আরও দুটি বাড়িও বেঁচেছে। তবে রাস্তার ওপারে পুরো বাড়িটি জ্বলে মাটিতে মিশে গেছে। তখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেবল একটি ইটের চিমনি দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি বলেন, ‘রাস্তার ওপারে তাকিয়ে দেখুন, আমি যদি এখানে না থাকতাম, তাহলে এখানেও তাই হতো। ওদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছিল। খুবই দুঃখজনক পুরো ব্যাপারটা।’
পেরেজ তিন বছর আগে আলতাডেনায় চলে আসেন এবং তার দুই শোবার ঘরের ইউনিট ভাড়া নেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের সম্প্রদায়ের প্রেমে পড়েন তিনি, যেখানে প্রতিবেশীরা বন্ধুত্বপূর্ণ এবং একে অপরের যত্ন নেয়।
এদিকে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইটনের আগুন ১৫% নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকাজুড়ে আগুনের ঝুঁকি তখনও বেশি।
গত ৭ জানুয়ারি থেকে লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির আশেপাশের ছয়টি এলাকায় একযোগে আগুনের সূত্রপাত হয়। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং ১২,০০০ হাজারের বেশি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
I have been browsing online more than three hours today yet I never found any interesting article like yours It is pretty worth enough for me In my view if all website owners and bloggers made good content as you did the internet will be a lot more useful than ever before