একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে পুড়াপাড়া বাজারের কোটি টাকা মুল্যের খাস জমি

\ মহেশপুর সংবাদদাতা \
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুড়াপাড়া বাজারের কোটি টাকা মুল্যের সরকারি খাস জমি একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে। গড়ে উঠছে বহুতল ভবনসহ দোকান পাট। জানা গেছে পুড়াপাড়া বাজার এই জেলার একটি বড় বাজার, এখানে রয়েছে পশু হাট, সাধারণ হাট, মহিলা মার্কেট, স্বর্ণ পট্টি, চুরি পট্টি, কাপুড়ি পট্টি সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বনাথপুর মৌজার পুড়াপাড়া বাজারের এস,এ ১নং খতিয়ান ভূক্ত ৫ দাগে ৪০ শতক, ৮ দাগে ২.০৪ শতক, ১০ দাগে ২.৫৬ শতক, ১১ দাগে ৮১ শতক, ১৪ দাগে ৬৭ শতক, ১২ ও ২৯ দাগে ৭৫ শতক মোট ৭ একর ২৩ শতক জমি পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের পক্ষে কালেক্টর যশোর এর নামে এস,এ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজসে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও ভূমি দস্যুরা বাজারের প্রায় সব খাস জমি দখল করে নিয়েছেন। ফলে বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসানোর কোন জায়গা নেই। সাম্প্রতি বাজারের স্বর্ণ পট্টিতে উত্তম কুমার নামে এক স্বর্ণকার একটি মার্কেট ও বহুতল ভবন নির্মানের কাজ করছে। এছাড়া হাইস্কুল রোডের ৮ ও ১২ নং দাগে খাস ও পেরিফেরিভূক্ত জমির উপর ওয়াজ্জেদ আলী নামে এক ব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে ৫তলা ফাউন্ডেশন করে বহুতল ভবন নির্মান করেছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অদৃশ্য শক্তি ব্যবহার করে সরকারি জমি কিভাবে যেন ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে সবাই সরকারি জমি দখলের মহাউৎসবে মেতে উঠছে। অনেকে সরকারি জমি দখলন করে দোকান নির্মান করে অন্যের কাছে ভাড়া দিচ্ছে। মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, পুড়াপাড়া বাজার এই জেলার একটি বড় বাজার। সেখান থেকে সরকার প্রতি বছরে দেড় থেকে ২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতেন। কিন্তু সেই বাজারে দখল কারীদের কারণে হাট বসানোর মত সরকারী খাস জমি আর নেই। সব জমি ব্যক্তি নামে রেকর্ড যাচ্ছে। মান্দারবাড়ীয়ার ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শফি উদ্দিন জানান, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।