‘এখনো আইনি নোটিশ হাতে পাইনি’

Share Now..

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা বলেন, ‘হাসান আজাদের সঙ্গে এক বছর লিভ টুগেদারের পর বিয়ে করেছি আমরা।’ এমন বক্তব্যের পর অনেকেই স্বাগতার সমালোচনা করেছেন। এবার স্বাগতাকে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ। সাত দিনের মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

এ রকম পরিস্থিতিতে স্বাগতা বলেন, ‘এখনো কোনো আইনি নোটিশ হাতে পাইনি। পেলে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করব। আমি যাকে বিয়ে করব, তাকে আগে বুঝে নিয়েছি। তাতে সমস্যা কোথায়? দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের সম্মতিতে লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমার ভুলটা কোথায়? আমার প্রথম বিয়েটা তো ওয়ার্ক করে নাই। বিয়ে নিয়ে আমার মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছিল। আগের বারের মতো অত্যাচার সহ্য করতে চাইনি। আবার যদি একই রকম ঘটনা ঘটে কে দায় নেবে তার? এ কারণে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেদের ভালোভাবে বুঝে নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমাদের সমাজে স্বামীরা সংসারের দায়িত্ব নিত। এখন কিন্তু স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে দায়িত্ব নেয়। আগে সংসারে অশান্তি হতো, কিন্তু ডিভোর্স হতো না। যতই অত্যাচার করা হোক না কেন, নারীরা মুখ বুজে সেটা সহ্য করে যেত। এখন কিন্তু ডিভোর্স হচ্ছে। সমাজ কিন্তু মেনেও নিচ্ছে। আগের সময় তো প্রেম কেউ মেনে নিত না। এখন বেশির ভাগ বিয়ে হচ্ছে প্রেমের। পরিবারও মেনে নিচ্ছে। সেই ভাবনা থেকেই বলেছি লিভ টুগেদারও একসময় স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

সম্প্রতি আরিফুল খবির নামে একজন ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী নোটিশটি পাঠান। তাতে উল্লেখ করা হয়, ইসলাম ধর্মে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে সহবাস বা লিভ টুগেদার করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। স্বাগতার বক্তব্য লিভ টুগেদার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করে। এমন বিবৃতির কারণে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক নেতিবাচক চর্চা চলছে নেটিজেনদের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *