এমবাপ্পেকে আটকাতে প্রস্তুত রিয়াল
প্রথম লেগে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শেষ মুহূর্তে তার গোলেই ঘরের মাঠে ১-০ গোলের জয় পেয়েছিল পিএসজি। সেই জয়ের সুবিধা নিয়ে চাম্পিয়নস লিগে ফিরতি লেগের ম্যাচ খেলতে মাদ্রিদে পা রেখেছে তারা। স্পটলাইট এবারও এমবাপ্পের দিকে। তবে বোকার মতো আজ শুধু এমবাপ্পেকে নয়, পুরো পিএসজিকে আটকানোর পরিকল্পনা বানিয়ে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পিএসজির শুধু ড্রই যথেষ্ট। কিন্তু রিয়ালের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে চাপে থেকেই নামবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। হলুদ কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাসেমিরো ও ফারলা মেন্দিকে ঘরের মাঠে পাচ্ছে না রিয়াল। টনি ক্রুসও খেলবেন কি না নিশ্চয়তা নেই। আনচেলত্তি বলে দিয়েছেন, শতভাগ ফিট না হলে তাকে খেলাবেন না তিনি। ইনজুরিতে আছেন এমবাপ্পেও। গত পরশু বাম পায়ে চোট পান তিনি। তারপরও তাকে স্কোয়াডে রেখেছেন পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। তাই খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছেন না আনচেলত্তি। তিনি বলেন, ‘আশা করি এমবাপ্পে খেলবে। সেটা ভেবেই আমরা প্রস্ত্ততি নিচ্ছি।’
সান্তি য়াগো বের্নাব্যুর দর্শকরা তাকিয়ে থাকবেন মেসির দিকেও। বার্সায় থাকতে তাদের অনেক জ্বালাতন করছেন এই ফরোয়ার্ড। বরাবরের মতো এবারও তিনি নিষ্প্রভ থাকুক সেটাই চাইবেন তারা। গত ম্যাচে পেনাল্টি পেলেও গোল করতে পারেননি মেসি। আজ সেই মেসিকে অবশ্য চাইবে না পিএসজি। চ্যাম্পিয়নস লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডকে দলে ভিড়িয়েছে দলটি।
মেসির মতো বের্নাব্যুতে ফেরা হচ্ছে না সের্হিও রামোসের। গত মৌসুমে রিয়াল ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি জমান এই তারকা। ইনজুরির কারণে প্রথম লেগের মতো ফিরতি লেগেও খেলা হচ্ছে না তার।
মাদ্রিদে আসার আগে নিসের কাছে ১-০ গোলে হেরে এসেছে পিএসজি। অন্যদিকে, রিয়াল ঘরের মাঠে টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত। প্রথম লেগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সমর্থকদের দারুণ কিছু উপহার দিতে চান কার্লো আনচেলত্তি। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতো সেই ম্যাচ খেলতে পারিনি। পিএসজির হাই প্রেসিং বেশ ভুগিয়েছে আমাদের। আশা করি কাল (আজ) আমরা রিয়ালের সেরাটাই দেখতে পারবো। বেনজেমা ঠিক আছে, সে আগের রূপে ফিরে এসেছে।’
এদিকে, রাতের অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে স্পোর্টিং সিপির বিপক্ষে খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম লেগে ৫-০ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে পেপ গার্দিওলার দল। তবুও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছে না তারা।