এ উল্লাস শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জয়ের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস নয়!
আসিফ কাজল, ঝিনাইদহঃ
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা। হঠাৎ উল্লাস-উচ্ছাস। ঘর থেকে বেরিয়ে হৈ হুল্লোড়ে মেতে ওঠে পাড়া মহল্লার শিশুরা। না, এ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বা ভারত-পাকিস্থানের মধ্যে কোন শ^াসরুদ্ধকর ম্যাচ জয়ী খেলার বাঁধভাঙ্গা উল্লাস নয়। এ হচ্ছে চার দিন ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের পর প্রথম সুর্য্যের আলো। হ্যা, এমনটিই ছিল ঝিনাইদহ শহরের পরিবেশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে কনকনে শীতের মধ্যে সুর্য্যরে দেখা মেলে। সুর্য্যের এই তাপ ক্ষনিকের জন্য শীতার্ত মানুষের কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। গরম কাপড় খুলে রোদ পেহাতে ব্যাস্ত হয়ে ওঠে মানুষ। জানা গেছে, প্রায় ৪/৫ দিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতে মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে আছে। এখনো শীতের তীব্রতা কমেনি। দপুর গড়াতেই শীত জেঁকে বসছে। সন্ধ্যার পর শহর ফাঁকা হংে যাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর তেকে বের হচ্ছে না। প্রচন্ড শীতে মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারে দুপুরে ওঠা সুর্য্যরে আলো আর উত্তাপ শাতার্ত মানুষকে কিছুক্ষনের জন্য উষ্নতা দেয়। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহত্তর যশোরসহ দেশের আট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এই ধারা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Crush the competition and rise to the top.