কখন চা পান করবেন 

Share Now..

প্রতিদিনের পরিশ্রম ও মানসিক চাপের ওপর নির্ভর করে শরীরে তৈরি হয় খাদ্য ও পানীয়ের চাহিদা। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে উপমহাদেশে পানীয় হিসেবে চা খুব জনপ্রিয়। আর এর পেছনে মূল কারণটা হলো চায়ে আছে ক্যাফেইন নামক একটি মৃদু উত্তেজক উপাদান। চা পান করলে শরীর চাঙা হয় ও ঝরঝরে লাগে।

কিন্তু চা কি সব সময় পান করা উচিত, এমন প্রশ্নের আগে আরও জেনে রাখা ভালো যে চায়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি প্রধান উপাদান হলো ট্যানিন। চায়ের তিক্ত-কষ স্বাদ এবং ব্ল্যাক টির কালো রং ট্যানিনের জন্য হয়ে থাকে। ট্যানিন মূলত খাদ্য থেকে দেহে আয়রনের শোষণহার হ্রাস, দেহে শক্তি উৎপাদন, প্রোটিনের গ্রহণযোগ্যতা ও ক্যান্সারের প্রতিরোধক উপাদানের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

অধিকাংশ পুষ্টিবিদরা মনে করেন, সকালের দিকে চা পান করা সবচেয়ে ভালো। কারণ, এই পানীয়তে আছে ক্যাফিন। ক্যাফিন শরীর সতেজ করে। কাজের শক্তি জোগায়। ফলে কাজ শুরুর আগে এক কাপ চা অনেকটাই কার্যকর হতে পারে। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, চায়ে কিন্তু কোনো ক্যালরি নেই। চায়ের ক্যালরি নির্ভর করে কতটুকু চিনি ও দুধ মেশানো হয় তার ওপর। যদি কেউ ক্যালরি–ফ্রি চা পান করতে চান তাহলে তা হবে দুধ ও চিনি ছাড়া। 

দুই বেলার খাবার খাওয়ার মাঝখানে চা পান করা ভালো, এমনটাও মনে করেন অনেক পুষ্টিবিদ। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক, পেপটিক আলসার আছে তাদের চা পানে সর্তক থাকতে হবে। অন্যেদিকে রাতে যাদের চা পানের অভ্যাস, তাদের ঘুমের সমস্যা ঘটাতে পারে ক্যাফিন। ফলে ঘুমের আগে চা পান থেকে বিরত থাকতে হবে।

হজমশক্তি কিন্তু বাড়াতে সক্ষম চা। তাই এই পানীয়টি দিনের কোনো ভারী খাবারের পরেও পান করা যায়, যদি না কারো শারীরিক সমস্যা বা জটিলতা না থাকে। আর চা বানানোর সময় চা-পাতা দীর্ঘ সময় চুলার আঁচে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *