কবে পাওয়া যাবে ‘স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স’, জানেন না কেউ

Share Now..

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দ্রুতগতিতে গ্রাহকের হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে দেওয়ার জন্য চালু করা হয় ডিজিটালাইজড ‘স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স’। কিন্তু স্মার্ট কার্ডের আবেদনের পর প্রায় দুই বছর পার হলেও অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়নি গ্রাহকদের। তাদের অভিযোগ প্রয়োজনীয় ফি, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দেওয়ার পরও স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের দেখা মিলছে না।

গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, বিআরটিএ স্মার্ট লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রাখায় চালকদের ভোগান্তির সঙ্গে সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতেও তারা আবেদন করতে পারছেন না। পাশাপাশি বিদেশগামী চালকরাও আছেন দুর্ভোগে। এদিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্রুত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের নির্দেশ দিলেও তার ফল পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।

জানা গেছে, বিআরটিএ স্মার্ট লাইসেন্স প্রদান প্রকল্পের চুক্তিবদ্ধ সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কারণেই এই ভয়াবহ ভোগান্তি। প্রতিষ্ঠানটি চুক্তির এক বছরেও বিআরটিএ-কে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিআরটিএ ও ১৫ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী।

স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ভোগান্তি নিয়ে যাত্রাবাড়ীর বাবু হোসেন জানান, গত বছরের আগস্টে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য টাকা, ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছিলেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া কথা ছিল চলতি বছরের জুন মাসে। একনলেজমেন্ট স্লিপের মেয়াদ শেষ হলে বিআরটিএ থেকে মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছি। কবে লাইসেন্স পাবো তাও জানি না।

বিআরটিএ-এর মিরপুর শাখার উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিআরটিএ থেকে গ্রাহকদের একনলেজমেন্ট স্লিপ দিচ্ছি। যা সড়কে চলাচলের সময় অস্থায়ী অনুমতিপত্র হিসেবে দেখানো যাবে। এই স্লিপের সাধারণ মেয়াদ দেওয়া থাকে। তবে, মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে ১ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছি।
স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার বিষয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, ২ বছর আগে লাইসেন্সের জন‌্য আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি। কবে সার্ভার চালু হবে, কবে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবো, তাও জানি না। সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য বিআরটিএ থেকে একনলেজমেন্ট স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। তবে, এই স্লিপ খুব সাধারণ কাগজের হওয়ায় সবসময় সঙ্গে রাখা যায় না। প্রায় ছিঁড়েও যায়। একনলেজমেন্ট স্লিপের মেয়াদ শেষ হলে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিয়ে দেয়। এভাবে হয়রানি করার কোনো মানে হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *