কবে ফেরত আসবে স্লিপের সেই ৪০ লাখ টাকা

Share Now..


ফুলবাড়ীতে ‘স্কুল লেভেল ইম্প্রুভমেন্ট প্ল্যান’(স্লিপ)-এর ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে ফেরত যাওয়ার ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসকে দুষছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা বলছেন, চলতি (২০২১-২২) অর্থ বছরের স্লিপের টাকা গত অর্থবছরের ৩০ জুনের মধ্যে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে যাওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর আরও আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে। অথচ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অবহেলার কারণে স্লিপের টাকা পাওয়া যায়নি। কবে নাগাদ, এই টাকা ফেরত আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।না গেছে, স্লিপের টাকা ফেরত যাওয়ার ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এরশাদুল হক একই অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসার রক্ষক মো. শহিদুল ইসলামকে গত ২ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া, গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্লিপের প্রথম কিস্তির টাকা বিদ্যালয়ের যৌথ হিসাব নম্বরে টাকা ছাড় করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে, ১৪৯ বিদ্যালয়ের স্লিপের দ্বিতীয় কিস্তির ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা এখনো স্কুলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। শিক্ষকরা বলছেন, টাকা অভাবে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।জেলা শিক্ষা অফিস-সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য প্রতি বছর স্লিপের টাকা বরাদ্দ পায়। এরই অংশ হিসেবে ফুলবাড়ী উপজেলারও ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্যও প্রতিবছর স্লিপের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য বছরের মতো চলতি অর্থবছরের স্লিপের টাকা গত অর্থবছরের ৩০ জুনের মধ্যে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অবহেলার কারণে এখনো ওই টাকা বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি।মনিরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মল্লিক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্লিপের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসের ক্রটির কারণে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাইনি।’স্লিপের ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা ফেরত যাওয়ার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তাফা ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মিটিং করে জানানো হবে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসার রক্ষক মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভুলের কারণেই স্লিপের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ফেরত গেছে। এ কারণে শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে শোকজ করেছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর শোকজের জবাব দিয়েছি।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন,‘প্রথম কিস্তির টাকা ১৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের অনুকুলে ছাড় করা হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির ফেরত যাওয়া ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা কবে পাওয়া যাবে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।’

এই বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এরশাদুল হকের সঙ্গে তার মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, স্লিপের ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অর্থ বিভাগে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।’ কবে নাগাদ এই টাকা পাওয়া যাবে, এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একান্তই অধিদফতরের ব্যাপার।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে। টাকা ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

4 thoughts on “কবে ফেরত আসবে স্লিপের সেই ৪০ লাখ টাকা

  • February 12, 2024 at 9:05 pm
    Permalink

    You completed a number of fine points there. I did a search on the issue and found mainly persons will agree with your blog.

    Reply
  • March 15, 2024 at 11:41 am
    Permalink

    Пытаетесь справиться с горем, душевной болью, зависимостью? Психологический центр «Доверие» поможет вам преодолеть трудности и адаптироваться к переменам в жизни. Вы станете свободным от всех барьеров и комплексов, научитесь разбираться в особенностях своей психики. От вас уйдет тревога, и перестанут мучить депрессии. http://ack-group.ru – сайт, где можно в любое удобное время записаться на прием к лучшему психологу. Специалист готов поддержать вас на пути к самопознанию и эмоциональному равновесию. Нам важно ваше хорошее состояние!

    Reply
  • March 21, 2024 at 9:09 am
    Permalink

    I love your blog.. very nice colors & theme. Did you create this website yourself? Plz reply back as I’m looking to create my own blog and would like to know wheere u got this from. thanks

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *