কম্বিনেশন ও বন্ডিংয়ের কারণেই ফাইনালে উঠেছে বরিশাল 

Share Now..

কাগজে-কলমে এবারের আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ফরচুন বরিশাল। তাদের দলে রয়েছে দেশি-বিদেশি এক ঝাঁক তারকা ক্রিকেটার। তাদের নিয়েই গেল আসরে নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতার পর চলমান আসরেও উঠেছে ফাইনালে। নজর শিরোপা ধরে রাখার। এ লক্ষ্যেই আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের একাদশ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নামবে তামিমরা। 

এর আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ফরচুন বরিশাল। সব মিলিয়ে পুরো আসর জুড়েই তারা ছিল দুর্দান্ত আর যা সম্ভব হয়েছে দলের কম্বিনেশন ও বন্ডিংয়ের কারণে। গতকাল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটি জানিয়েছে বরিশালের হেড কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। 

গেল অক্টোবর এই আসরের প্লেয়ার ড্রাফটের পর থেকেই শিরোপার ফেভারিট হিসেবে ভাবা হচ্ছিল তাদের। কেননা গত আসরের শিরোপা জেতা দল থেকে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে ধরে রেখেছিল বরিশাল। তার প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে সরাসরি চুক্তিতে নিশ্চিত করে তাওহিদ হৃদয়কে। পরে প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্রথম ডাকেই তারা দলে নেয় মাহমুদউল্লাহকে। এরপর দলে যোগ করে তারা নাজমুল হোসেন শান্ত, ইবাদত হোসেন, রিশাদ হোসেনদের। বিদেশিদের মধ্যে রয়েছে কাইল মায়ার্স, দাউদ মালান, মোহাম্মদ নবির মতো তারকা ক্রিকেটাররা। শেষ অবধি নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। 

এ নিয়ে বুধবার অনুশীলন শেষে বরিশালের হেড কোচ বাবুল বলেন, ‘আমরা যখন দল বানিয়েছি তখন সবাই বলেছে যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। গণমাধ্যম বলেছে… বাকিরাও (অন্য দলের) বলেছে, আপনাদের তো খেলার দরকার নেই। এভাবে মজা নিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই আমরা দল করেছি। আমাদের টিম কম্বিনেশন দেখলেও তাই মনে হয়। চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কি না, সেটা ৭তারিখে (ফাইনালে) বোঝা যাবে। আমরা ফাইনালে উঠেছি। আমাদের কম্বিনেশন, টিম বন্ডিং কাজ করেছে। আমরা প্রথম দিন থেকেই চেয়েছি যে আমরা ফাইনাল খেলব। সেই লক্ষ্যেই এগিয়েছি এবং আমরা যেতে পেরেছি।’ 

এর আগে বিপিএলের প্রথম দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। এরপর তাদের কীর্তিতে নাম লেখাতে পেরেছে শুধু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২০২২ ও ২০২৩ সালে। এবার পথে অনুসরণ করার সুযোগ এসেছে বরিশালের সামনে। সেই অভিযানে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দলের পাঁচ জনকে এবারও নিয়েছে বরিশাল। বাবুলের মতে, একই সমন্বয় ধরে রাখার কারণেই টানা ফাইনাল খেলছে বরিশাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে দলটা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। তো ফলাফল পাওয়ার কারণ হলো বন্ডিং। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটাররা যখন খেলতে আসে, দলের প্রতি একটা অনুভূতি কাজ করে। এই দরদের থেকেই ফল বের হয়। বেশির ভাগ ক্রিকেটার গত আসরে যারা খেলেছে, এবারও তারাই আছে। এটা একটা কারণ ফাইনালে ওঠার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *