কয়েক’শ চাকরী প্রত্যাশী বিপাকে ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা হঠাৎ স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার আগের দিন এ ভাবে পুর্ব ঘোষনা ছাড়াই মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় চাকিরী প্রত্যাশীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন পরীক্ষা বন্ধের পেছনে কারো না কারো ইন্ধন আছে। তবে কেন বা কি কারনে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করা হলো সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ মুখ খুলছেন কেউ। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে ৮ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ৬৭ জন ও আয়া পদে ৮জন নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহবান করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে অত্যন্ত সচ্ছভাবে লিখিত পরীক্ষার আয়োজন ও উত্তীর্ন প্রার্থীদের যাচাই-বাচাই করে কমিটি বৈধ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য নামের তালিকা প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে ২৮ জন,পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ২৬৮ জন ও আয়া পদে ৩২ জন বৈধ প্রার্থী ছিল। এদিকে হঠাৎ মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষনা পেয়ে সাব্বির আহম্মেদ ও ফয়সাল আজাদ নামে দুই প্রার্থী জানান, এমন খবরে আমরা হতাশ হয়েছি। এটা আইন বহির্ভুত। আয়া পদে উত্তীর্ন শান্তনা খাতুন জানান, মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শেষ করার পর এমন ঘোষনায় আমি আশাহত হয়েছি। তিনি দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা গ্রহনের দাবী জানান। রোশনা খাতুন ও নাজনীন সুলতানা নামে দুই চাকরী প্রত্যাশী জানান, নিয়োগ কমিটি সুনিদ্দিষ্ট কারণ ছাড়া কারো ইন্ধনে এমন হঠকারী সিদ্ধন্ত নিতে পারেন না। এটা আমাদের প্রতি চরম অন্যায়। নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব জেলা পরিবার পরিকল্পনার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ জানান, নিয়োগ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক। তার সার্বক্ষনিক তত্বাবধানে লিখিত পরীক্ষা প্রহন ও ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর চিঠি ইস্যু করে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ওয়েব সাইটে খবরটি আপলোড করার পর ৫ নভেম্বর থেকে প্রার্থীরা এ খবর জানতে পারেন। তিনি বলেন প্রকৃত মেধাবীরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। গোটা পক্রিয়ার সচ্ছতায় সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। তিনি বলেন, আবেদনকারীরা টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন করেছেন। যেখানে ইউনিয়ন/ওয়াার্ড/ইউনিট ও গ্রামের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। অধিদপ্তরের নিদের্শনা মোতাবেক লিখিত পরীক্ষার সময় প্রার্থী যাচাই বাছাইয়ের কোন সুযোগ ছিল না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার আগেই যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ইউনিয়ন/ওয়াার্ড/ইউনিট ও গ্রামের বাইরের কোন অবৈধ প্রার্থীর চড়ান্ত নিয়োগের সুযোগ নেই। অথচ একটি মহল বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ দাবী করেন, ২০১১ ও ২০১৪ সালের নিয়োগে সহকারী পরিচালক (সিসি) থাকাকালীন সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত দুটি নিয়োগ নিয়ে কোন কথা হয়নি অথচ ১১ বছর পর এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। গোটা নিয়োগ পক্রিয়া বন্ধ করতে ব্যক্তিগত আক্রশের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়েছে। ফলে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। নিয়োগ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলছেন, এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারনে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মিটিং করে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ দ্রুত চুড়ান্ত করা হবে।
Challenge your friends and rise to the top in online gaming Lucky Cola