করোনায় বেড়েছে পারিবারিক সহিংসতা

Share Now..

চলমান মরণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে সামাজিক অস্থিরতায় যুব সমাজ বিপথগামী হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি পারিবারিক কলহ, সহিংসতা আশংকাজনক হারে বেড়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা থেকে শিশুদের রক্ষায় সরকারের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় কোমলমতি শিশু কিশোর ঝুঁকেছে মোবাইলে। সুশাসনের জন্য নাগরিক উখিয়া শাখার সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার জানান, লকডাউনকে পুঁজি করে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী চক্র ওয়াফাই ব্যবসায় নেমে পড়েছে। তারা একটি সংযোগের বিপরীতে আদায় করছে ৪/৫ হাজার টাকা। আবার প্রতিমাসে এমবি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৮-৯ শ টাকা। শিশু থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াফাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ওয়েব সাইটে নানা ধরনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও উপভোগ করছে। ফলে গ্রামগঞ্জে অপরাধ প্রবণতা আগের তুলনায় অনেকাংশে বেড়েছে।

স্থানীয় একটি এনজিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আবুল কাশেম জানান, লকডাউনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, লকডাউনে ঘরবন্দি পরিবারে বিভিন্ন সমস্যা ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সৃষ্ট কলহে উখিয়ায় প্রায় আড়াই শতাধিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ, অবাধ্য পুত্রের দাবী দাওয়া পূরণ না করায় পিতা-মাতাকে মারধর, স্ত্রীর চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূ ঘরছাড়া প্রভৃতি।

হলদিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল গ্রামের নুরুল আলম জানায়, তার ছেলে ও তার বিবাহিতা স্ত্রীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে মেয়ে পক্ষের পরিবারের ৭/৮ জন লোকজন অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা এলোপাথাড়ি মারধর করে তার পরিবারের ৬ জনকে গুরুতর আহত করে।

একই ভাবে পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের নাজির হোসেন জানান, অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়ায় অবাধ্য ছেলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। সে বর্তমানে থাইংখালী বাজারে বসবাস করছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোর্শেদ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সাম্প্রতিক সময়ে থানায় অভিযোগকারীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেড়েছে। প্রদত্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। দীর্ঘ সময় লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি পরিবারের মধ্যে অহেতুক ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি এমনকি মারামারি ঘটনা ঘটছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *