করোনা হানা দিলো কুক আইল্যান্ডে
গত দুই বছর ধরে করোনা প্রবাহে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গাই রয়েছে যেখানে করোনা থাবা বসাতে পারেনি। তালিকায় প্রথম নাম ছিল কুক আইল্যান্ডের। যদিও ৪ ডিসেম্বর সে দ্বীপে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি সে দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। আর তারই ফলে এই সংক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রের জনসংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজারের কিছু বেশি। তার মধ্যে ১৮ ঊর্ধ্ব প্রায় ৯৬ শতাংশ নাগরিকই দু’টি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন বলে খবর। সারা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ হারে টিকাকরণ হয়েছে এই ছোট্ট দেশটিতে।
কুক আইল্যান্ডে এক নাবালকের করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর পরিবারের সঙ্গে কুক আইল্যান্ডে এসেছে ওই ১০ বছরের বালক। তারপর করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ছেলেটি সম্ভবত নিউজিল্যান্ড থেকে সংক্রমিত হয়ে এ দেশে এসেছে।
সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সীমা এলাকায় করোন পরীক্ষার কাজ চলছে। সে সময়ই ওই নাবালকের শরীরের করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
করোনা অতিমারীর একেবারে প্রথম পর্যায়ে গোটা বিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল কুক। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক বিমান সেবা। কিন্তু সম্প্রতি তারা আবার পর্যটকদের জন্য দ্বীপ খুলে দিতে শুরু করেছে। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে সেখানে বিমানে এলে আর কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন হবে না বলে জানা গেছে। তবে এই নিয়ম শুধু নিউজিল্যান্ড থেকেই মিলবে। এ বছরের প্রথম দিকে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিমান যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছিল কুক।