কাতার বিশ্বকাপের টিকিট যাদের হাতে

Share Now..

কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র বছরখানেক বাকি। বাছাইপর্বও প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এরইমধ্যে ১৩টি দল আনুষ্ঠানিকভাবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে গেছে। বাকি জায়গাগুলোর জন্য চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

এ মাসে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান বাছাইপর্বের শেষ পর্ব পেরিয়ে যে দলগুলো সরাসরি বিশ্ব মঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তারা হলো জার্মানি, স্পেন, ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়া, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও ফ্রান্স।

এশিয়া থেকে একমাত্র কাতার স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশ্বকাপের ফাইনালে এটাই কাতারের প্রথমবারের মত খেলার অভিজ্ঞতা হবে। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ হিসেবে কাতারেই প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে। তবে গ্রুপ-এ থেকে ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকা মূল পর্বে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। তিনে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং চারে থাকা লেবাননের আশাও ভালোভাবেই টিকে আছে। ১২ দল এশিয়ার বাছাইপর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে হোম-অ্যাওয়ে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলছে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। এরপর তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলো যাবে চতুর্থ রাউন্ডে।

উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান (কনকাকাফ) অঞ্চল থেকে ৩টি দল বাছাই পর্ব পেরিয়ে সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। প্লে-অফ পেরিয়ে আসবে বাকি দল। এই অঞ্চলে এখন বাছাইয়ের তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডের খেলা চলছে। প্রথম ৩টি জায়গা দখল করে আছে যথাক্রমে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো। প্লে-অফের স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে পানামা।

করোনা মহামারির কারণে ওশেনিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই অঞ্চলের পুরো বাছাইপর্ব আগামী বছরের মার্চের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সবগুলো ম্যাচ হবে কাতারে। কিন্তু ওই অঞ্চলের ১১টি দলই তাতে অংশ নেবে কি না তা এখনও অনিশ্চিত। এই মহাদেশ থেকে ফেভারিট হিসেবে বাছাইপর্বে অংশ নিবে নিউজিল্যান্ড। অন্য দলগুলো হলো- সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, নিউ কালেদোনিয়া, তাহিতি, ফিজি, ভানুয়াতু, পাপুয়া নিউগিনি, আমেরিকান সামোয়া, সামেয়া, টোঙ্গা এবং কুক দ্বীপপুঞ্জ।

দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চল থেকে নাম নিশ্চিত হয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ও টুর্নামেন্ট ফেভারিট ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। ১২ ম্যাচে মাত্র একটি ড্র নিয়ে বাছাইপর্বে এখনো অপরাজিত আছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল বিশ্বকাপের সব আসরেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সও বাছাইপর্বে ছিল দুর্দান্ত। অনেকটাই একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে ১০ ম্যাচে সম্ভাব্য ৩০ পয়েন্টের মধ্যে অপরাজিত ফ্রান্স ২৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। দলের তরুণ তুর্কি কিলিয়ান এমবাপ্পে ১৯৫৮ সালে জাস্ট ফনটেইনের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বাছাইপর্বে এক ম্যাচে চার গোল করেছেন।

বাছাইপর্বে এ পর্যন্ত বেশ কিছু অঘটনও ঘটেছে। বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে শেষ ম্যাচে ড্র করে প্লে-অফ খেলতে হচ্ছে। এছাড়া প্লে-অফে খেলার অন্য বড় দলগুলো হলো পর্তুগাল, সুইডেন, রাশিয়া। তাদের সঙ্গে আরও রয়েছে স্কটল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, ওয়েলস, অস্ট্রিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, পোল্যান্ড, তুরস্ক ও ইউক্রেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *