কাবুল বিস্ফোরণে তালেবানের মৃত্যু নিয়ে নেতাদের ভিন্ন বক্তব্য

Share Now..

কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ মার্কিন সেনা ও শিশুসহ অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। নিহতদের মধ্যে তালেবানের কেউ আছে কি না, সে বিষয়ে দুই রকম খবর এসেছে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিবিসিকে জানিয়েছেন, সংগঠনটির কেউ ওই ঘটনায় নিহত হননি। যেখানে ওই বোমা হামলা হয়েছে, তা মার্কিন বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছিলো।

অথচ এর কয়েক ঘণ্টা আগে তালেবানের অন্য এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে তাদের অন্তত ২৮ জন রয়েছেন।
রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছিলেন আফগানরা। আফগানদেন কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলো ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যেই বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এ সময় সেখানে প্রায় চার থেকে পাঁচশ মানুষ ছিলেন। প্রথম বিস্ফোরণের পর দূর থেকে গুলি চালায় আরেক হামলাকারী। এর কিছুক্ষণ পরই পাশের ব্যারন হোটেলের বাইরে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্ফোরণ পরবর্তী ভিডিওতে দেখা গেছে লাশের স্তূপ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার মার্কিন সেনা ও শিশুসহ অন্তত ৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় শতাধিক। তাদের অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেককে ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে ভিড়ের মধ্যে ঘটা বোমা হামলায় আহতের সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।আফগানিস্তানের কাবুলে এই হামলা চালানো জঙ্গিবাদী আইএসকে সংগঠনটির পূর্ণ নাম ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান। সিরিয়া ও ইরাকে তাণ্ডব চালানো ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে এরা যুক্ত। বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ে প্রাচীন আমলে যে অঞ্চল ছিল তাকে খোরাসান নামে ডাকা হতো। এসব জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *