কামিন্দুর দেড়শোতে বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড়
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসের শ্রীলঙ্কার করা ২৮০ রানের জবাবে ১৮৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে রানের পাহাড়ে চাপা পড়ছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এই দুই লঙ্কান ব্যাটার। তৃতীয় দিনে ধানাঞ্জায়া ও কামিন্দুর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে শ্রীলঙ্কা। এরপর দিমুথ করুণারত্নে ও ধানাঞ্জায়া মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে ফিফটি করে দলীয় ১১৩ রানে ১০১ বলে ৫২ রান করে আউট হন করুণারত্নে।
এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান বিশ্ব ফার্নান্দো। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই লঙ্কান ব্যাটার।
দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নেন ধানাঞ্জায়া। এরপর দলীয় ২৯৯ রানে ১৭৯ বলে ১০৮ রান করে আউট হন এই লঙ্কান অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা প্রবাথ জয়সুরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন কামিন্দু।
ধানাঞ্জায়ার পর সেঞ্চুরির দেখা পান কামিন্দু। এরপর দলীয় ৩৬৬ রানে জোড়া উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। প্রবাথ জয়সুরিয়া ৪৭ বলে ২৫ ও লাহিরু কুমারা রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। তবে একপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দেড়শো রান পূর্ণ করেন কামিন্দু।
শেষ ব্যাটার হিসেবে ২৩৭ বলে ১৬৪ রান করে কামিন্দু আউট হলে ৪১৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ৫১০ রানের লিড পায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ৪টি উইকেট।