কারাগারের ছাদ কেটে পলায়ন: ৪ ফাঁসির আসামি রিমান্ডে
বগুড়া কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ কেটে পালানোর ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বগুড়ার আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতের বিচারক মুমিন হাসান এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুজন মিঞা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বুধবার আবেদনের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ওই চার আসামি বগুড়া কারাগারে আছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে।
কয়েদিরা হলেন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হোসেন ওরফে আমির হামজা (৪১), বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইসরাইল শেখ চাঁন মিয়ার ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।
এদিকে কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে পালানোর ঘটনায় বগুড়া কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদপ্তর। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে আরও তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে।
এর আগে ২৬ জুন মধ্য রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ কেটে বিছানার চাদর দিয়ে রশি বানিয়ে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি। তারা দীর্ঘদিন ধরে একই সেলে থাকার কারণে পরিকল্পনা করে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে জেলখানার অদূরে চেলোপাড়া চাষি বাজার এলাকা হতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে করাগার থেকে পালানোর অভিযোগে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদপ্তর থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটি একাধিকবার ঘটনাস্থল বগুড়া জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন।