কালীগঞ্জে অপহরণের পর গুলি করে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা

Share Now..

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল ইসলামকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে তার ছেলে সোহাগ হোসেন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট আমলী কালীগঞ্জ আদালতে হাজির হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত অবিলম্বে এজাহার হিসাবে রেকর্ড করে আগামি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানানোর জন্য কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মাহাবুবুর রহমান, ওমর আলী, শহিদুল ইসলাম, মতলেব হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান কাজল, মো. জাহিদ হোসেন, জব্বার আলী, মেহেদী হাসান, কামাল হোসেন, কোরবান আলী, ইনদাদুল, মো. সিরাজ, বিপ্লব হোসেন ও মো. জামাল হোসেন। আসামীদের সকলের বাড়ি উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নলভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করতেন। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রবিউলসহ কয়েকজন ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে মাইক্রো করে বাড়ির পথে রওনা দেয়। ফেরার পথে দুপুর ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ছালাভরা ও এগ্রোফুড এর মাঝামাঝি পৌছালে অপেক্ষমান হেলমেড ও মাস্ক পরিহিত আসামিরা অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। এরপর রবিউলকে অন্য একটি মাইক্রোতে তুলে কালীগঞ্জের দিকে চলে যায়। এরপর আমরা কালীগঞ্জ থানাসহ অনেক স্থানে খুজাখুজি করে না পেয়ে জিডি করতে গেলে পুলিশ অপরাগতা স্বীকার করে। এর তিন দিন পর ১৩ নভেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়া গ্রামস্থ্য ময়নাগাড়ি মাঠ থেকে রবিউলের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তার কপালের ডান পাশে গুলির চিহ্ন ও হাতপা বাধা অবস্থা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে সময় পুলিশ নিহত রবিউলের ছোট ছেলে সোহেল রানাকে দিয়ে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। তৎকালীন সময়ে আসামীদের সাথে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় হত্যাকান্ডটি ঘটিয়াছে বলেও মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *