কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে প্রেমপত্র , নেই আর ডাক পিয়নের ডাকাডাকি
এস আর নিরব যশোরঃ
কালের বিবর্তনে আধুুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে হারিয়ে গেছে প্রেমপত্র আর ডাকপিয়নের ডাকাডাকি। বর্তমানে মানুষ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করছেন। কিন্তু একসময় ডাকপিয়ন ছিল মানুষের একমাত্র তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম।
এখন কম্পিউটার আর মোবাইলের যুগ। মানুষ যন্ত্রের মাধ্যমে সেকেন্ডের মধ্যে তার প্রিয়জনকে পত্র লিখে পাঠাতে পারছেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরনের কার্যক্রম কম্পিউটার ও মোবাইলের মাধ্যমে করে থাকেন। বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়।
গত ১০ বছর আগেও ডাক বিভাগ ছাড়া চিঠি আদান-প্রদান অসম্ভব ছিল। দেশের অভ্যন্তরীণসহ বিদেশেও এই মাধ্যমে যোগাযোগ করা হতো। দেশের অভ্যন্তরে চিঠি পৌঁছাতে ৩/৪ দিন কিংবা এক সপ্তাহ সময় লেগে যেত। প্রিয়জনরা প্রিয়জনদের খবর পেতে ডাকপিয়নের অপেক্ষায় বসে থাকতো। এখন যেমন মানুষ বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে পরিচিত। আগের দিনে মানুষ নিজ নিজ এলাকার ডাকপিয়নের সাথে পরিচিত হতো।
তখনকার সময় একজন ডাক পিয়নের দায়িত্ব ছিল অনেক। তাদের কাঁধে চাপা থাকতো গুরু দায়িত্ব। মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটাতেন তারা। সকাল হলে চিঠির বস্তা কাঁধে নিয়ে ছুটে যেতেন দ্বারে দ্বারে। ওসব চিঠিপত্রে থাকতো প্রতিটি মানুষের দুঃখ, কষ্ট, আহাজারি আবার বয়ে আসতো সুখ আর আনন্দের বার্তা।
যুবক-যুবতিরা তাদের প্রিয় মানুষের হাতের লেখা পত্রের জন্য প্রহর গুণতো। প্রতিটি মানুষ তাদের পোস্ট অফিসের পিয়নের নাম জানতেন এবং যেখানেই তাদের সাথে দেখা হত, জিজ্ঞাসা করতেন, তার নামে কোনো চিঠিপত্র আছে কিনা।
একসময় পোস্ট অফিসগুলোতে ছিল মানুষের সমাগম। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সবাই ছিল পোস্ট অফিসমুখী। কেউ চিঠি পাঠাতেন আবার নতুন ডাকের অপেক্ষায় পোষ্ট অফিসে বসে থাকতেন।