কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তানের মোহ কাটছে না

Share Now..


জম্মু ও কাশ্মিরে ৩২ বছরের দীর্ঘ প্রক্সি যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তান শান্তির কথা বলতে শুরু করেছে। অন্যদিকে ভারত আগ্রাসী নয় বরং সমঝোতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ভারতের শান্তির আকাঙ্ক্ষাকে দেশটির দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, আলোচনা ও সন্ত্রাসবাদ একসঙ্গে চলতে পারে না।

মোদি আরও বলেন, পাকিস্তান যদি সত্যিই স্থায়ী শান্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আন্তরিক হয়, তাহলে দেশটির উচিত কাশ্মির নিয়ে তাদের আবেশ ছেড়ে দেওয়া। এছাড়াও পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করা উচিত বলে জানান তিনি। তাহলেই ভারতের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শুধু শান্তির কথা বলাই যথেষ্ট নয়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তার দেশ জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি জম্মু ও কাশ্মির সমস্যার সমাধানের সঙ্গে যুক্ত জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মিরীদের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। এর থেকে কম হলে তা কার্যকর হবে না বলে জানান তিনি।

তথাকথিত কাশ্মির সমস্যার সমাধানের কথা বলে ও জাতিসংঘের প্রস্তাবের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শরিফ আবারও অন্যরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার এই শান্তির আকাঙ্ক্ষা সংঘাতকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে একটি নিছক বাগাড়ম্বর ছাড়া আর কিছুই নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী একদিকে ঘোষণা করেছেন, তার দেশ সংলাপের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চায়। কারণ যুদ্ধ কোনো দেশের জন্যই বিকল্প নয়। কিন্তু একইসঙ্গে বলেছেন যে ‘কাশ্মির সমস্যা’ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *