কেন সাইফকে ছেড়ে গিয়েছেলেন অমৃতা, মুখ খুললেন শর্মিলা ঠাকুর

Share Now..

সম্প্রতি করণ জোহরের শো ‘কফি উইথ করণ’-এ এসেছিলেন বলিউডের নবাব সাইফ আলি খান ও অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। মা-ছেলের জুটি প্রথমবারের মত করণের শো এর কফি কাউচে বসেছিলেন। আর এখানেই কথা প্রসঙ্গে উঠে এল সাইফ আর অমৃতার বিয়ে।

১৯৯১ সালে খুব অল্প বয়সেই অমৃতাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সাইফ। বয়সেও অমৃতা ছিল অনেক বড় তার থেকে। শোনা যায়, পতৌদি পরিবারের নাকি একেবারেই পছন্দ ছিল না অমৃতাকে। এমনকি তাকে মেনে নিতে বছর পাঁচেক সময় লেগেছিল। 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কফি উইথ করণ-এ সাইফ জানান, অমৃতা তার সঙ্গে দেখা করতে মুম্বাই এসেছিলেন। আর তখনই মা-কে সাইফ জানান, অমৃতাকে আগেরদিন বিয়ে করেছেন।

ছেলের এভাবে না বলে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে কেঁদে ফেলেছিলেন শর্মিলা। থামছিল না চোখের জল। ছেলেকে বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছ’। 

এরপর শর্মিলা করণ জোহরকে জানান, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে জীবনের প্রতিটা দিক ভাগ করে নেওয়া খুব ভালো। কারণ ওরাই আপনাকে দেখভাল করে বড় করেছে।’

সাইফ জানান, অমৃতাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত যেমন তিনি প্রথম মা-কেই জানিয়েছিলেন, তেমনই অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদের কথাও প্রথম জেনেছিল শর্মিলাই। ছেলেকে বলেছিলেন, সব পরিস্থিতিতে পাশে থাকবেন তিনি। 

শর্মিলার মতে, ‘ওটা খুব একটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। বিশেষ করে তোমরা যখন অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকো। আর তোমাদের ওরকম মিষ্টি মিষ্টি সন্তান থাকে। দুজনের মধ্যে সেই সময় সম্পর্ক খুব একটা সুরেলাও ছিল না। আর ওরকম পরিস্থিতিতে তা সম্ভবও নয়। কারণ দুজনেই আঘাত পেয়েছে। ওই পরিস্থিতিটা খুব একটা ভালো ছিল না। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছিলাম। 

ওর (অমৃতার) ঠান্ডা হতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল।’ বর্ষীয়ান এ অভিনেত্রীর মতে, সেইসময় ছেলের বউয়ের সঙ্গে তিনি হারিয়েছিলেন দুই ফুটফুটে নাতি-নাতনি সারা আর ইব্রাহিমকেও। 

২০০৪ সালে অমৃতার সঙ্গে ডিভোর্সের পর ২০১২ সালে কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। 

পতৌদি পরিবারের ছবি-ভিডিও দেখে এখনও যৌথ পরিবারের স্বাদ পায় নেট-নাগরিকরা। সকলে আলাদা আলাদা থাকলেও, যে কোনও অনুষ্ঠান তারা কাটায় একসঙ্গে। শর্মিলা থেকে সাইফ, সোহা-সাবা, কুণাল-কারিনা বাদ যান না কেউই। এমনকী কারিনার বাড়িতে অবাধ যাতায়াত সাইফের প্রথমপক্ষের দুই সন্তান ইব্রাহিম আলি খান ও সারা আলি খানের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *