কেয়া হত্যা মামলার সকল আসামী কারাগারে আসামীদের ফাঁসি চায় বাবা সামিউল
মিঠুমালিথা:
কালীগঞ্জের বহুল আলোচিত কেয়া হত্যা মামলার সকল আসামী কে কারাগারে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আাদলত ঝিনাইদহ।গতকাল বুধবার জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে স্হায়ী জামিন চাইলে জামিন না মজ্ঞুর করে আসামি দেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।সেই সাথে বয়স নির্ধারনের বিষয়ে আগামী ১৬ তাাং আদালতে -শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।ইতিপূর্বে আসামীদের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট এ্যাপিলেট ডিভিশন রুল জারী করে সুপ্রিম কোর্ট।রুলের নিষ্পত্তি ছাড়া প্রধান আসামী ইসরাফিলের জামিনের বিষয়ে নিম্নকোর্টের এখতিয়ার বর্হিভূত।কিন্তু তথ্যগোপন করে প্রধান আসামী ইসরাফিলের জামিন মঞ্জুর করে। আইনি জটিলতায় বের হতে পারেনি ইসরাফিল। মহামান্য হাইকোর্ট যার ক্রিমিনাল মিস নাম্বার-১৫৫৫০/২১।কিন্তু এ্যাপিলেট ডিভিশন কতৃক জামিন স্হগিত করেন।যাহার পিটিশন নং ৩৯১/২১।সেই সাথে কেন তাকে আটক রাখা হবেনা মর্মে জানতে চেয়ে রুল ইসু করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।যে কারণেই ইসরাফিলের মুক্তি মেলেনি।এদিকে সম্প্রতি তথ্য গোপন করে নিম্ম আদালতে ইসরাফিল সহ আসামীদের জামিন প্রার্থনা করা হয়।নিম্ন আদালত ইসরাফিলের জামিন মঞ্জুর করেন।বিপত্তি ঘটে জামিন নিয়ে।নিম্ন আদালতের জামিন নিয়ে জেলার সংশ্লিষ্ট আদালতকে আপীল বিভাগের নির্দেশনার বিষয়টি আদালতকে অবগত করেন।আদালত ইসরাফিলের জামিন বাতিল করে।সেই সাথে অন্য দুইজনকে জামিন দেন।এরপর প্রধান আসামীকে আপীল বিভাগের রুল নিষ্পত্তি না হলে জামিনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হবে না।রুল নিষ্পত্তি হলেও স্পর্শ কাতর মামলা বলে বিবেচিত হওয়াই সব আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।এদিকে কেয়া হত্যা মামলার সংবাদ দৈনিক নবচিত্র পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করে আসছে।বিষয়টি রাষ্ট পক্ষের নজরে আসে।বিজ্ঞ কৌশুলী স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে রুল জারী করেছেন।কালীগঞ্জে লোমহর্ষক ক্লু লেস- কেয়া হত্যা মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ।গত ৩০-০৪-২০২১ইং তারিখে কালীগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত)মোতলেবুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ মামলার চার্জশীট দাখিল করেছেন।যার অভিযোগপত্র নাং-১০০।ধারা-৩০২/২০১/৩৪/৩৭৯পেনাল কোড তৎসহ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী-০৩ এর ৯/০৩।মামলার বিবরনে আারো জানা যায়-গত ২৬-০২-২০২০ ইং তাং নিজ বাড়ী থেকে হারিয়ে যায় কেয়া।এ ঘটনায় কেয়ার পরিবার থানায় জিডি করেন।জিডি নং৪৩/২০২০।এঘটনার ১৫ দিন পর ১৩-০৩-২০২০ সকালে ধলা দাদপুর মাঠ হতে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পরিবারের সদস্যরা লাশটি কেয়ার বলে সনাক্ত করে।লোমহর্ষক ক্লু-লেস হত্যা মামলার মোটিভ উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ।প্রেমে ব্যার্থ হয়ে তিন যুবক গণধর্ষনে হত্যা করে কেয়াকে।এ রকম অভিযোগের সুত্রধরে মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পন্ন করেন।সেই সাথে মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায়।এ ঘটনায় হত্যাকারী ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।আটককৃতরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় আদালতে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ত্রিলোচানপুরের গ্রামের সলেমান হোসেনের ছেলে মিলন- আসাদুলের ছেলে ইসরাফিল ও আজগর আলীর ছেলে আজিম।মামলা থেকে সুজন নামে একজন আসামীকে অব্যহতি দিয়েছে পুলিশ।তবে সুজন ও হত্যার সাথে জড়িত বলে দাবী করেন নিহত কেয়ার বাবা সামাউল।আদালতে সুজনের বিরুদ্ধে নারাজী দিয়েছেন মামলার বাদী সামাউল।সামাউল জানান-আসামীরা সদ্য জেলখানা হতে বের হয়ে বেপরোয়া চলাফেলা শুরু করেছেন।তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে।হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে বাদীকে মামলা উঠিয়ে নিতেও চাপ প্রয়োগ করছে।কখনো বা জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলেবুর রহমান(ওসিতদন্ত)বলেন ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলার চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পাবে বলে বিশ্বাস করি।এ মামলায় পুলিশ পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই চার্জশীট প্রেরণ করেছে।