কোটচাঁদপুরে বাঁওড় পাড়ের মানুষের ক্ষোভ, হালদারদের দখলে বাঁওড়
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় ১৯৭৯
সালে টানা ছয় বছর কার্যক্রম শেষে ১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাঁওড়ের কার্যক্রম শুরু হয়। বিগত ৩০ বছর ধরে এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।এমনকি এখান থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সরকারের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়,সরকারি কোষাগারে।তবে লোক মুখে শোনা যাচ্ছে গত দুই বছর বাঁওড় ম্যানেজার বাঁওড় মৎস্যজীবী সমিতির কাছে গোপনে বছর চুক্তিতে ৯০ লক্ষ টাকায় লিজ দেন। স্থানীয়দের তথ্য মতে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবৎ এই বাঁওড় সরকারিভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে।হঠাৎ করেই জানা যায় পাঁচ মাস যাবত এ বাঁওড় এখন নিয়ন্ত্রণ করছে হালদার সম্প্রদায়,বাঁওড় এর আশেপাশে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি আমরা দীর্ঘদিন এই বাঁওড়ে ছোট ছোট রানী মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি
এতে করে আমাদের রুটি-রুজি ও বাচ্চাদের পড়ালেখার খরচ যোগায়। হঠাৎ করে বাঁওড় হালদারদের দখলে চলে যাওয়ার কারণে আমরা রানী মাছ ধরতে পাচ্ছি না। শুক্রবার সকালে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাঁওড় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে কথা হয় মৎস্যজীবীদের ।তারা জানায় বর্তমান বাঁওড় ম্যানেজার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রতিবছর সরকারি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় হালদার সম্প্রদায়ের মাঝে এই বাঁওড়কে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছে । অথচ এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন কিছুই জানে না। বর্তমান দায়িত্বরত বাঁওড় ম্যানেজার মৎস্যজীবীদের সাথে আলোচনা করে নিজেই এ সিদ্ধান্ত নেয়।
হালদার সম্প্রদায়ের সাথে কথা বলে জানা যায় বছর চুক্তিতে ৯০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে লিজ দেওয়া হয়েছে তাদের কাছে। এ কারণে হালদার সম্পদায়ের মৎস্যজীবী ছাড়া আর কেউই এখানকার মাছ ধরতে পারে না। এ বিষয় বাঁওড পাড়ের মানুষ বিভিন্ন রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদেরকে রানী মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে যা বিগত সময় ঘটেনি।এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার সঞ্জয় কুমার এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান বাঁওড় ম্যানেজার হালদারদের কাছে কি ভাবে লিজ দিয়েছে আমরা জানা নেই । সরকারি বাঁওড় আইনগত ভাবে লিজ দেওয়া কোনো সুযোগ নেই বাঁওড় ম্যানেজার মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় আছি এসে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।