কোটচাঁদপুরে ৫ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ৩ যুবকের
কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর এলাকা থেকে ৩ যুবক নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কোটচাঁদপুর পৌরসভার বড়বামনদহ্ গ্রামে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে।
সরজমিন গিয়ে জানা যায় ,কোটচাঁদপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড বড়বামনদহ্ গ্রামের ৩ যুবক সভা শোনার নাম করে রবিবার সন্ধায় বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাদেরকে আর খুঁজে পাইনি পরিবারের লোকজন। কোন উপায় না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নিখোঁজ ৩ যুবকের মধ্যে রয়েছে বড়বামনদহ্ গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে পারভেজ হোসেন(২৩), রকিব উদ্দিনের ছেলে ওমর সানী রাব্বি (২১), আনোয়ারের ছেলে রিয়াজ হোসেন (২৫)।
এ ব্যাপারে রাব্বি হোসেনের দাদি রোকেয়া বেগম বলেন, আমার পুতা ছেলে বাড়ি ছেড়ে কোন দিন বাইরে থাকেনি। কোন খারাপ সঙ্গও ছিলনা। তবে যাবার কয়দিন ধরে চলা ফেরায় এলোমেলো দেখা যায়।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে। সে আমার ছোট ভায়ের ছেলে রিয়াজের সঙ্গে রবিবার সন্ধার সময় বের হয়। এরপর থেকে তার আর কোন সন্ধান পায়নি। সাথে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনা নিয়ে সোমবার রাতে থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন পারভেজের পিতা মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, আমার ছেলে রবিবার রাত ১১ টা পর্যন্ত বাসায় ছিল। হঠাৎ করে একটা ফোন আসে। এরপর তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে যায় সে। তবে রেখে যায় তার ব্যবহারের সব মোবাইল সেট। সাথে করে নিয়ে গেছে সিম গুলো।
তিনি অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন রিয়াজের দিকে। সে তার ছেলেকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে বলে দাবি তার।
তবে এ ঘটনা নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি রিয়াজ হোসেনের পিতা আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন,রবিবার রাতে আমার ছেলে বাড়ি ছিলেন। সোমবার থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কাজের চাপে থানায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
তিনি সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আমার ছেলে কে অনেকে দোষারোপ করছেন। তবে আপনারা কোন উল্টো পাল্টা লিখেন না। আমার ছেলেও গেছে। আমিও চাই তারা ফিরে আসুক। ফিরে আসলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা কি। সোমবার রাতে ওমর সানি রাব্বির ব্যবহারিত সিম নম্বর থেকে কথা হয়েছে আনোয়ারের সাথে বলে জানান তারা। আরও বলেন রিয়াজ চলে যাওয়ার পরের দিন ওর স্ত্রী ননদের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফিরে আসেনি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মঈন উদ্দিন বলেন , যারা গেছে প্রত্যেকে প্রাপ্ত বয়স্ক। এদের কেউ হারায়নি। নিজের ইচ্ছায় কোথায় গিয়ে কাজ করছেন।
Enter a world of thrilling online challenges! Lucky Cola