কোটচাঁদপুরে বন্ধ হয়নি অবৈধ চক্ষু চিকিৎসা, খুটির জোর কোথায়
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বন্ধ হয়নি অবৈধ চক্ষু চিকিৎসা প্রশাসনের আদেশ উপেক্ষা খুটির জোর কোথায়। চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে বেশ কিছু জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বারবার সংবাদ প্রকাশ হলেও বন্ধ হয়নি কথিত চিকিৎসা বানিজ্য।
সরজমিনে তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় কলেজষ্ট্যান্ড সংলগ্ন হাইওয়ে রাস্তার পাশে অবস্তিত সাবেক ভূমি কর্মকর্তা শুকুর আলীর নিজ বাড়ীতে সুমন কুমার বালা নামে এক প্যারামেডিক বসিয়ে ডাক্তার পরিচয়ে প্রতিনিয়ত দিচ্ছেন চক্ষু চিকিৎসা।
প্রতিষ্ঠানের সামনে চটকদার বিজ্ঞাপন ও ডাঃ সবুজ আহমেদ (এফ.সি.পি,এস) এর বড় ব্যানার টাঙিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছেন চিকিৎসা নিতে আসা চক্ষু রোগীদের।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে ৪/৫ জন দালাল, যাদের কাজই হচ্ছে রাস্তা থেকে রোগী ধরে এনে তাদেরকে ম্যানেজ করা, কখনও আর-দীন হাসপাতাল কখনও সরকারী ডাক্তার কখনও আবার যশোর সদর হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয়ে রোগীদের হয়রানী করা হচ্ছে। ডাঃ সুমন কুমার বালা, ডাঃ আবদুল্লাহ এ সব বিভিন্ন প্যারামেডিক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চলে এখানে চিকিৎসা বানিজ্য। সাবেক ভূমি কর্মকর্তা নিজেই প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বসে টিকিট লেখেন ও ঔষধ বিক্রি করেন।
পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসার ডাঃ সেলিনা বেগম চিকিৎসা বন্ধ করার জন্য কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল রশীদকে চিঠি দিতে বলেন সুমনকে, চিঠি দেওয়ার পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এ বিষয়ে অবগত করা হয়। এ বিষয়ে অবগত করা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহনে দেখা মেলেনি। বেশ বেপরোয়া ভাবে চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠান। তিনি আবার বিভিন্ন মহলে বলে বেড়াচ্ছেন সারা জীবন ভূমি অফিসে চাকুরী করেছি, কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় তা আমি জানি। বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সংগ্রহে জন্য সাংবাদিকরা চক্ষু চিকিৎসাকে সাথে কথা বলতে গেলে সামনে বসে থাকা জনৈক বেক্তি নাম রিন্টু দৌড়িয়ে এসে বলে ডাঃ সাহেব ভিতরে রুগী দেখছেন দেখা বা কথা বলা যাবে না, কি কারণে জানতে চাইলে তিনি জানান যাবে না এটাই কারণ। রুগী দেখছেন কে তিনি বলেন ডাঃ সুমন কুমার বালা,,তার রুগী দেখা নিষেধ আছে বললে তিনি বলেন কাকে দিয়ে রুগী দেখাবো সেটা আমাদের ব্যাপার এখান থেকে যান।এবিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান ওখানে চক্ষু চিকিৎসা দিতে সুমন কুমার বালা কে আমি চিঠি দিয়ে নিষেধ করে দিয়েছি। তার তো কোনো শিক্ষায় নাই সে তো রাঁধুনি না তো রাঁধবে কি,চিকিৎসা বন্ধ না করলে ওসি অথবা ইউএনও কে বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ডাক্তার সুমন কুমার বালার মুঠো ফোনে কল দিলেও রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।