কোটচাঁদপুর থেকে গাঁজা উদ্ধার পলাতক আসামি করে মামলা
\ কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা \
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ঋষি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তিনশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছেন জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে অভিযান চালিয়ে এ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রতিমা রানীকে পলাতক আসামি করে মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে উদ্ধার হওয়া গাঁজা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত প্রতিমা রানী ও ওই কর্মকর্তা। জানা যায়, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের আবাসিক প্রকৌশলী পাশে ঋষি পাড়ায় অভিযান চালান ঝিনাইদহের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। এ সময় উদ্ধার করেন তিনশ গ্রাম গাঁজা। তবে পালিয়ে যান গাঁজার মালিক প্রতিমা রানী। ওই সময় আটক করেন এক গাঁজা সেবনকারীকে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ওই মাদক সেবীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত প্রতিমা রানী বলেন, এ পাড়ায় যারা ব্যবসা করেন,প্রত্যেককে মাসোহারা দিতে হয়। আর ওই মাসোহারা নিয়ে থাকেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, আমি আগে ব্যবসা করতাম। সে সময় তাদের সঙ্গে আমারও চুক্তি ছিল। এখন ব্যবসা করিনা। এজন্য তাদের সঙ্গে কোন চুক্তি নাই। এ কারনে ওনারা অভিযানে আসার আগেই আমার জানতে পারিনা। তবে যাদের সাথে চুক্তি আছে তার জানতে পারে। প্রতিমা বলেন, বেশ কিছু দিন আগে আমার বাড়িতে অভিযান চালান। ওইদিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। সে কারনে তারা আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে গাঁজা দিয়ে চালান দেন। আজও ওনারা আমার বাসায় কোন কিছু পাননি। তিনি দাবি করেন,উদ্ধার হওয়া গাঁজা আমার না। গাঁজা গুলো ছিল প্রতিবেশী উমার। তারা ওর ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করে আমাকে ফাঁসাতে মামলা দিচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিমার ঘরে তল্লাশি করে গাঁজা উদ্ধার করেছি। তবে ওনাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অন্যের গাঁজা দিয়ে প্রতিমাকে ফাঁসানো হচ্ছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কখনও হয় নাকি। ওনার ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছে, এখন ওনি উল্টাপাল্টা বকছেন। আর টাকার চুক্তি নিয়ে যে কথা উঠেছে, সেটা আমার জানা নাই বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা।