কোরবানির পর পরিবেশ রাখুন পরিষ্কার

Share Now..

ঢাকা শহরসহ সারা দেশের কোরবানির ঈদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অভিজ্ঞতা বড়োই তিক্ত। নির্দিষ্ট স্থানে তো নয়ই ফুটপাতের ওপরে অনেকেই কোরবানি দিয়ে থাকেন। কোরবানির বর্জ্যের ফলে রাস্তাঘাট হয়ে দাঁড়ায় নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত।

কোরবানিদাতাদের উচিত বিচ্ছিন্ন স্থানে পশু কোরবানি না দিয়ে এলাকার লোকজন মিলে এক স্থানে কোরবানি করা বা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করা। পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কাজ শেষে কোরবানি যেখানে করা হয় সেই জায়গাটি কয়েকবার ধুয়ে নিতে হবে।

প্রথমে পানি এরপর স্যাভলন দিয়ে একবার জায়গাটা ধুয়ে নিতে হবে। তারপর গুঁড়া সাবান বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং  সব শেষে চারদিকে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে রাখতে হবে। কোরবানি করা পশুর হাড়, লেজ, কান, মাথার খুলি ও পায়ের অবশিষ্টাংশ অবশ্যই বর্জ্য ফেলার ব্যাগে ভরে সেটি কাছাকাছি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ১-২ দিনের মধ্যেই তা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। গ্রামে বা যেখানে খোলা জায়গা আছে, সেখানে  কোরবানির আগে খালি জায়গায় একটি গর্ত করে, পশুবর্জ্যগুলো ঐ গর্তে ফেলে মাটিচাপা দিয়ে দিতে হবে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াবে না এবং মশার উপদ্রব ও রোগবালাই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *