ক্ষীণ স্বপ্ন নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ
এবারের বিশ্বকাপে রীতিমতো বড় দলগুলোকে চমকে দিয়েছে আফগানিস্তান। তারা আসর শুরুই করেছে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ছেলেখেলা করে বড় জয় তুলে নিয়ে। শেষ অবধি কিউইরা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় আর আফগানরা জায়গা করে নেয় সুপার এইটে। এই রাউন্ডে প্রথম ম্যাচে রশিদের দল হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সবাইকে অবাক করে দেয়।
২০২১ বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২১ রানে জয় তুলে নেয় আফগানরা। তাতে সম্ভাবনা জেগেছে তাদের প্রথম বারের মতো সেমিতে খেলারও। এবার এই উড়ন্ত আফগানদের মুখোমুখি টাইগাররা। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৬টায় সুপার এইট পর্বের ও নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।
চলমান আসরে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে সংগ্রাম করে সুপার এইটে উঠে আসলেও এ পর্বে খুব বেশি একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। আর পুরো আসর জুড়েই বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দলের সঙ্গী হয়ে ছিল সমালোচনা। যদিও গ্রুপ পর্ব পেরিয়েই টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন সুপার এইটে উঠেই তারা খুশি এবার যা আসবে তা বোনাস। গুরুর এই কথার পর থেকে তার শিষ্যরা জেতেনি একটি ম্যাচও।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে বড় হারের পর ভারতের বিপক্ষেও দলগতভাবে করেছে অসহায় আত্মসমর্পণ। তাতেই সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে শান্তরা। তবে পথ বন্ধ হয়ে যায়নি এখনো টিকে আছে সম্ভাবনা যদিও অঙ্কটা বেশ কঠিন। সূত্র মেলাতে হলে নিজেদের বড় জয় পাওয়ার পাশাপাশি ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে সেখানেও হিসেবটা বেশ জটিল। যদিও বাংলাদেশের সেমিতে ওঠার এমন পথটাও অবশ্য অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে খুলে দিয়েছে আফগানরাই। এবার তাদের বিপক্ষেই শান্ত-লিটনদের বিশ্বকাপের শেষটা রাঙানোর মিশন। যাই হোক এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।
যদিও এ ম্যাচের আগেই আফগান অধিনায়ক রশিদ খান হুংকার দিয়ে রেখেছেন জয় তুলে নেওয়ার। তিনি বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজেদের সেমিতে যাওয়ার পথও দেখে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। তার ওপর শক্তিশালী অজিদের বধ করে তো আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েই তারা। গতকাল ঐতিহাসিক জয়ের পর এ নিয়ে আফগান নেতা বলেন, ‘এই জয় আমাদের দেশের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বব্যাপী যেখানেই আফগানরা আছে তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তারা খুব করে এমন একটি জয় চাইছিল। আমি নিশ্চিত এই জয়ে তারা গর্বিত এবং খেলা উপভোগ করেছে। আমাদের জন্য এটি মাত্র শুরু। পরেরটি বড় ম্যাচ। আমাদের সেমিতে ওঠার পূর্ণ সুযোগ আছে।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আফগানিস্তান বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা দলটির বেশ কিছু খেলোয়াড় বড় বড় ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলে নিজেদের উচ্চপর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তবে এ ফরম্যাটে টাইগারদের সঙ্গে তাদের লড়াইটা হয় হাড্ডাহাড্ডি। যদিও মুখোমুখি লড়াইয়ে আফগানদেরই জয়ের পাল্লাটা ভারী। এখন পর্যন্ত ১১ বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুখোমুখি লড়াইয়ে আফগানদের জয় ৬ ম্যাচে আর বাংলাদেশের জয় পাঁচ ম্যাচে। যদিও সবশেষ দেখায় ঘরের মাটিতে রশিদ বাহিনীর ওপর ছড়ি ঘুরিয়েই জিতেছেন টাইগাররা।
তবে সম্প্রতি বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সে তার ঢের এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের থেকে। যেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ভুগছে প্রতিপক্ষে বোলারদের মোকাবিলা করে রান তুলতে সেখানে শক্তিশালী দলগুলোর তারকা বোলারদের ওপর দাপট দেখিয়েই রান পাচ্ছে আফগান ব্যাটাররা। তাদের বোলিং ডিপার্টমেন্টও বেশ শক্তিশালী। তাই বলা যায় টাইগাররা খুব সহজেই জয় তুলে নিতে পারবে না রশিদদের বিপক্ষে। যদি দলগত সমন্বয়ে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে পরাজয়ের স্বাদ নেওয়ারও। সবশেষ বিশ্বকাপেও আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছিলেন টাইগাররা।
It is perfect time to make a few plans for the long run and it’s time to be
happy. I’ve learn this post and if I may I desire to recommend you some interesting things or
advice. Perhaps you could write next articles referring to this
article. I desire to read more things about it!