কয়রায় হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রের সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু।
দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কুরআনের হেফজ পড়ুয়া আট বছর বয়সী রিফাত হোসেন নামের এক শিশুর মৃত্য হয়েছে।
২০ই জুলাই (শনিবার) বেলা ২ঃ৩০ মিনিটে কয়রা উপজেলার নাকসা চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত রিফাত হোসেন(৮) কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের নাকসা গ্রামের মঈন আলী সরদারের ছেলে। সে নাকসা পুর্বপাড়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমপ্লেক্সের হেফজ শাখার মেধাবী ছাত্র।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও ঘটনা স্থলের প্রতাক্ষদর্শী আখতার মোড়ল জানান ছোট্ট বাচ্চাটি মাদরাসা থেকে পড়ে যোহরের নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি আসছিলো বাড়ির পথে প্রবেশ করার সময় আমাদীর দিক হতে চাঁদখালীগামী একটি মোটরসাইকেল পিছন থেকে তার শরীরের ওপর ওঠে যায়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন যাত্রী ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক পার্শ্ববর্তী গ্রাম্য চিকিৎসক গোলাম সরোয়ারের কাছে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইবুর রহমান সানা নিহতের মৃত্য বিষয় নিশ্চিত করে বলেন দুপুর আড়াইটার দিকে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ছেলেটি মারা গিয়েছে তার এই অপমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.বি.এম.এস দোহা (বিপিএম) জানান নিহতের পিতা-মাতা মামলা করতে রাজি নয় তাই ময়নাতদন্ত না করার জন্য ডিসি স্যারের কাছে আবেদন পাঠিয়েছে অনুমতি পেলে নিহতের দাফনের সম্পন্ন হবে।
মেধাবী শিক্ষার্থী রিফাত হোসেনের এই অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি শোক সমবেদনা জানিয়েছেন আমাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল, নাকসা পুর্বপাড়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটি। বাল্যবিয়ের দেওয়ার প্রস্তুতিকালে ভ্রাম্যমাণ