খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে, এই তো বেশি: প্রধানমন্ত্রী

Share Now..

অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে, এই তো বেশি। যে আপনাকে হত্যা করতে চায়, তাকে আপনি কি ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসবেন- এমন প্রশ্নও রাখেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তাকে বাইরে পাঠানো নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার বক্তব্য জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার হাতে যা ছিল, তা দিয়ে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। এখন এটা সম্পূর্ণ বিচার বিভাগের বিষয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে মারতে অনেক চেষ্টা করেছে। এরপর খালেদার ওপর আমায় মায়া দেখাতে বলেন। আমার হাতে যেটুকু আছে, তার মাধ্যেমে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ওনারা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের শেল্টার দিয়েছেন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার রাত ২টার দিকে তাকে হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনায় দুদফা বৈঠক করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। এই বৈঠকে বিদেশি কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এতে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের বরাত দিয়ে পারিবারিক সূত্র জানায়, সবদিক থেকে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে নিতে পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছে। সে অনুযায়ী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নিতে আবারও সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন তারা।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *