গবেষণা ও গীতরঙ্গ পরিবেশনা কেন্দ্র ভৈরবীর বর্ষপূর্তি

Share Now..

দেশীয় সংস্কৃতি গবেষণা এবং গীতরঙ্গ পরিবেশনা কেন্দ্র ভৈরবী তাদের এগিয়ে চলার প্রথম বর্ষপূর্তিতে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য দেশের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা। সেই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত এক বছর ধরে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের কর্মকাণ্ডকে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে তারা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বর্তমানে ভৈরবীর সঙ্গে যুক্ত আছেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস নবী ফয়সাল। যিনি একইসঙ্গে রাজধানী ঢাকার স্বনামধন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির থিয়েটার ক্লাব অলষ্টার ড্যাফোডিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভৈরবীর পরিচালক হিসেবে আছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহীদুজ্জামান খান শাহী।

বিগত এক বছর ধরে তারা দেশের লোকজ সংস্কৃতির উপাদানগুলো নিয়ে গবেষণা করে চলেছে। যা আসন্ন বছরগুলোতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।

১২ জুন সংগঠনটির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে বাংলা বর্ণমালার প্রথম অক্ষরের সঙ্গে মিল রেখে বর্ষপূর্তি উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে অভ্র যাত্রায় ভৈরবী। বাংলার লোকসংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য এবারের আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে কালিকাপ্রসাধ ভট্টাচার্যকে।

বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে চমৎকার সব উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। লক্ষ্য, প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি, রীতি-রেওয়াজ, নাচ, গান, খাবার ও পোশাকসহ নানা বিষয় তুলে ধরা। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর তুলে আনা হবে বৃহত্তর সিলেট জেলার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে।

লোকজ সংস্কৃতি সমৃদ্ধ সিলেট জেলায় রয়েছে আঞ্চলিক ছড়া, ধাঁধা, ধামাইল গান, রাধা রমণের গান, হাছন রাজার গান, শাহ আবদুল করিমের গান, মণিপুরী নৃত্য, শুনাভানের পুথি, শীতলপাটি, বেতের কারুশিল্পসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক রসদ। অনলাইনের মাধ্যমে আয়োজিত হতে যাওয়া বর্ষপূর্তির এই অনুষ্ঠানে এসবের অধিকাংশই তুলে ধরা হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বর্গীয় কালিকাপ্রসাধ ভট্টাচার্যকে স্মরণ করা হবে এবং তাকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হবে। এরপর শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বিশেষ বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক, শিক্ষক এবং ২০২১ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত অজয় দাশগুপ্ত স্যার। পরবর্তী ধাপে সিলেট জেলাকে নিয়ে তথ্যবহুল আলোচনা, ভিডিওচিত্র, গান, গল্প ও ইতিহাস নিয়ে নানান আয়োজন থাকবে। আগামী ১২ জুন ভৈরবীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে।

One thought on “গবেষণা ও গীতরঙ্গ পরিবেশনা কেন্দ্র ভৈরবীর বর্ষপূর্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *