‘গরুর মাংস’ ঘটনায় অনবরত হত্যার হুমকি, ছেলেকে আতঙ্কিত সুদীপা

Share Now..

বাংলাদেশে এসে গরুর মাংস রান্না শিখে মহা বিপদে পড়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী ও সঞ্চালক সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। ‘রাঁধুনী-এপার ওপারের রান্না’ নামের রান্না বিষয়ক একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে গরুর মাংস রান্না নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম বিতর্ক, সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। যদিও এই ঘটনায় হাতজোড় করে ক্ষমাও চেয়েছেন সুদীপা। তারপরেও এখনও অনবরত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। 

হিন্দুস্তান টাইমসে বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুদীপা জানান, হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও খুন, হত্যার হুমকি থেকে ছাড় পাচ্ছে না সুদীপা ও তার ৫ বছরের ছেলে আদিদেব। এতে ভেঙে পড়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

সব ভুলে তিনি ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। তবে এই আতঙ্কের কারণেই ছেলে আদিদেবকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সঞ্চালিকা। 

সুদীপার কথায়, ‘কিছুদিন পর হয়ত পাঠাবো। তবে পুলিশ খুব সাহায্য করছে।’ পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। তবে এই ঘটনা যে এতদূর গড়াতে পারে, তা বুঝতে পারেননি বলে জানান সুদীপা।

এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সুদীপার স্বামী, আদিদেবের বাবা অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। কেউ কেউ এক্ষেত্রে সুদীপার প্রয়াত মা-কে পর্যন্ত আক্রমণ করতে ছাড়েননি।

এর আগে সুদীপা বলেছিলেন, ‘এটা যখন আপনাদের মনে এত আঘাত দিয়েছে, নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর কারোর। তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। 

আশাকরি আগামী দিনে এটা আমি মনে রেখে, মাথায় রেখে চলব। এধরনের কিছু ঘটলে সাবধান হব অনেক বেশি। তবে আমার না সত্যিই মাথায় আসেনি এটা হতে পারে!’

ঠিক কী কারণে গণ্ডোগোল, কোথায় ভুল হয়েছে তা জানাতে গিয়ে সুদীপা বলেছিলেন, ‘তারিন জাহান অনুষ্ঠানটি শুরু করতে গিয়ে ভুলবশত বলে ফেলেন, যেটা হয়না ক্যাজুয়ালি বলে ফেলা, যে সুদীপা আজকে তোমায় আমি গোরুর মাংস রান্না করে খাওয়াবো। 

অ্যাকচুয়ালি তারিণ আর আমি খুব বন্ধু। খুব সুন্দর আড্ডা দিচ্ছিলাম, বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। তখন ও একজন বন্ধুকে ওয়েলকাম করতে গিয়ে কথাটা বলে ফেলেছে, কিন্তু বলেই ও সঙ্গে সঙ্গে কারেক্ট করে বলেছে, আমি আজকে আপনাদের সবার জন্য গোরুর মাংসের কোফতা রান্না করবো।’

সুদীপার দাবি, ‘এটা হয়ত কোনওভাবে এডিটরের ভুল হবে, এইরকম ভুল আমরা প্রায়ই বলি। যেকেউ অ্যাঙ্কররা বলে, পরে সেটা এডিটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এটা তারিণ জাহান ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন তা কিন্তু আমি মনে করি না অন্তত। কেউ এটা করে না। আর আমি তো সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম।

 কারণ আমি জানি, এই অংশটা বাদ যাবে এডিটে। সেটা কোনওকারণে বাই মিসটেক সেটা হয়নি। তার দায় তো আমার উপর বর্তায় না না?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *