ঘূর্ণিঝড় মোখা আসছে উপকূল কাপছে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ্রয় কেন্দ্র।
মোঃ রউফ কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলায় চাহিদার তুলনায় সাইক্লোন শেল্টারের সংখ্যা কম। দুর্যোগের সময় ৩ লক্ষাধিক মানুষের জন্য সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে মাত্র ১১৭টি। এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপজেলার অনেক মানুষকে একই রুমে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। সেখানে পর্যাপ্ত থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। নেই নারী-পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেট ব্যবস্থাও। এ কারণে দুর্যোগের সময় উপজেলা বাসীকে চরম সংকটে মুখে পড়তে হয়। এলাকাবাসী জানায়, সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গোড়ে উঠা দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় উপজেলা কয়রা ৭টি ইউনিয়নের ১৩১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া, শিবসা ও আড়পাঙ্গাসীয়া নদী বেষ্টিত উপজেলাবাসীকে আতংকগ্রস্ত করে রেখেছে সারা বছর। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার সময় জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে যেকোনো গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় মানুষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল খোঁজে সময় একমাত্র আশ্রয়স্থল হলো সাইক্লোন শেল্টার। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, আম্ফান ও ইয়াসের আতঙ্ক কেটে গেলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আতঙ্ক কাটেনি উপকূলীয় জনপদ কয়রাবাসীর। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ্রয়কেন্দ্র নেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে দুর্যোগের সময় ৩ লক্ষাধিক মানুষের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে ৯৮টি। ফায়েল খায়ের ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে ১৯টি। দক্ষিণ বেদকাশীর জোড়শিং গ্রামের দুর্গাপদ মিস্ত্রি (৫৫) বলেন, প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। প্রতিটি মুহূর্ত নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংবাদ বয়ে আনে। তারপরেও সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে বসবাস করছি। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আমাদী ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ৬টি ইউনিয়ন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। সেজন্য ৬টি ইউনিয়নে আরও সাইকোন শেল্টার নির্মাণ দরকার। এবিষয় কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা যেকোনো দুর্যোগের সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ জরুরি। যা রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কয়রা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ নেই হয়েছে নানা পদক্ষেপ ফায়ার সার্ভিসের মাইকিং জন সচেতনতা ঘূর্ণিঝড় পূূর্বে শুকনো খাবার, পানি সাথে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
Test your skills in our challenging online games! Lucky Cola
Unlock new levels and powerful rewards! Lucky Cola
The ultimate gaming adventure awaits—are you in? Lucky Cola