ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চৌগাছায় উঠতি ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা
\ চৌগাছা প্রতিনিধি \
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চৌগাছায় উঠতি ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়েছে, ক্ষতি হয়েছে কাঁচা ঘর-বাড়ির। বিদ্যুৎহীন গোটা চৌগাছা উপজেলা। সমুদ্র উপক‚লে প্রচন্ড গতি নিয়ে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েছে যশোরের চৌগাছাতেও। রোববার বিকেল থেকে ঝেড়ো হাওয়ার সাথে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। সোমবার দিনের পুরো সময় ধরে বাতাস ও বৃষ্টি অব্যাহত ছিলো। একটানা বৃষ্টির কারণে শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েন। বাতাস ও বৃষ্টির ফলে উঠতি ফসলের বেশ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মাঠে চাষ করা কলা, উচ্ছে, পটল, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, ড্রাগনসহ নানা ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পটলের মাচাগুলো ইতোমধ্যে ভেঙে মাটিতে মিশে গেছে, বহু কৃষকের কলা গাছ ভেঙে পড়েছে এমনকি ড্রাগন ফল ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। পটল চাষি আব্দুল গনি, শামছুল বিশ্বাস বলেন, পানিতে তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও বাতাসে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকায় পটলের মাচা ভেঙে মাটিতে মিশে গেছে। ড্রাগন চাষি আবু সাঈদ, মো. শান্তি বলেন, ঝড়ে ড্রাগনের বেশ ক্ষতি হয়েছে।ঝড়ে বেশ কিছু এলাকার গাছ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে চৌগাছা-যশোর সড়কে ডিভাইন গার্মেন্টেসের পাশে একটি বটগাছ ভেঙে গামেন্টর্স ভবনের ওপর পড়ে। এতে ওই ভবনের গøাসসহ বেশ কিছুর ক্ষতি হলেও কেউ আহত হননি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসাইন বলেন, রোববার রাত থেকেই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, কৃষকদের কল্যাণে কৃষি অফিস সর্বদা প্রস্তুত আছে বলে তিনি জানান। এদিকে রোববার সন্ধ্যার পরপরই চৌগাছা উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। ঝড়ো বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ অফিস উপজেলাব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির জন্য শহরের বাড়িতে বাড়িতে হাহাকার শুরু হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় অনেকের মোবাইল ফোন। চৌগাছা বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী বালি আবুল কালাম বলেন, সোমবার ভোর হতে কর্মীরা লাইন সচলের জন্য কাজ শুরু করেছে, শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লাইন বন্ধ থাকবে, আশা করছি সন্ধ্যা নাগাদ লাইন সচল করা সম্ভব হবে।