চলতি মাসেই হতে পারে ৩-৫টি শৈত্যপ্রবাহ

Share Now..

উত্তরবঙ্গের কোনো কোনো জেলায় শীত আর হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রাজধানীতেও ছিল কুয়াশার বিস্তার। জেঁকে বসেছে পৌষের শীত। বইছে হিমেল বাতাস। অবস্থা ঠাণ্ডা অনুভূতি গত কয়েক দিনের তুলনায় বেড়েছে। এরইমধ্যে দেশে চলতি মাসে তিন থেকে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। 

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়বে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় চলতি মাসে শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (১ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরিচালক ও চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলামের সই করা দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে দু-একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র এবং দেশের অন্যত্র তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়বে।

দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানুয়ারি মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ১.৫০-৩.০০ মিলিমিটার এবং গড় সূর্য কিরণকাল ৫-৭ ঘণ্টা থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *