চার বছর পর আলোর মুখ দেখলো ‘মেকআপ’
চার বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখলো সিনেমা ‘মেকআপ’। গতকাল ২৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘মেকআপ’। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তারিক আনামের ভিন্ন লুকের একটি সিনেমার পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন পরিচালক অনন্য মামুন। তারপরই আলোচনায় আসে সিনেমাটি। পরে প্রদর্শনের অযোগ্য বলে ঘোষণা করে সেন্সর বোর্ড।
পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে চার বছরের জার্নি ছিল যুদ্ধের মতো। পৃথিবীর কোনো দেশে সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে না। সেখানে আমাদের সামাজিক সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’ ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সেন্সরে জমা পড়ে মেকআপ। তারপর একের পর এক সেন্সর বোর্ডের বাধার মুখে পড়ে। সেন্সর বোর্ড থেকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ১৫টি দৃশ্যের সংলাপে তাদের আপত্তি রয়েছে। ২০ মিনিটের মতো দৃশ্য কেটে ফেলতে হবে। পরিচালক সংশোধন করে আবারও সেন্সরে পুনর্বিবেচনার জন্য জমা দেন। সিনেমাটি পর্যবেক্ষণে রাখে সেন্সর বোর্ড। মার্চের শুরুতে সেন্সর বোর্ডের তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন ‘মেকআপ’ বিষয়ে বলেন, ‘এটি দেখে বোর্ডের মনে হয়েছে, সেন্সর নীতিমালার পরিপন্থী কিছু বিষয় এখানে আছে। যে কারণে আমরা সিনেমাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। সিনেমাটি অপ্রদর্শনযোগ্য। এটা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না।’ এভাবে সিনেমাটিকে একরকম ‘নিষিদ্ধ’ করে সেন্সর বোর্ড।
‘দর্শকদের সুস্থ ধারার সিনেমা উপহার দেওয়ার জন্য সিনেমাটি বানানো হলেও সেন্সরের জটিলতায় দর্শক দেখতে পারেনি এতদিন। সরকার পরিবর্তনের পর বদলে যায় বোর্ডের নাম ও সদস্য। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের কাছে নতুন করে আবেদন করে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে মেকআপ। দর্শক ও বোর্ডের সদস্য হিসেবে সিনেমাটি পছন্দ করেছেন সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য কাজী নওশাবা আহমেদ। সিনেমা ও তারিক আনাম খানের অভিনয়ের ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, সিনেমাটির যে সংস্করণ তাদের কাছে জমা দেওয়া হয়, সেখানে বাতিল হওয়ার মতো তেমন কিছু পাননি তারা। সিনেমাটিতে তারিক আনাম খান ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন জিয়াউল রোশান, নিপা আহমেদসহ আরো অনেকে।