চিত্রা নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত \ ৯৪টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত

Share Now..

\ আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ \
দখল ও দূষণ রোধে ঝিনাইদহের চিত্রা নদীর দুই ধারে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানি সম্পদ উপদেষ্টার নির্দেশে ইতিমধ্যে দখলবাজদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে চিত্রা নদীর বুকে গজিয়ে ওঠা স্থাপনা ও পুকুর উচ্ছেদ করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়। চিত্রা নদী দখলমুক্ত হলে এক সময়ের প্রমত্তা নদীটি আবারো প্রাণ ফিরে পেতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১২টি নদ-নদী রয়েছে। এর মধ্যে চিত্রা নদীর ১৭১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ঝিনাইদহ রয়েছে ৫৭ কিলোমিটার। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী, দোড়া, কালীগঞ্জ, তত্বিপুর ও মালিয়াট ইউনিয়নের উপর দিয়ে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় মিশেছে চিত্রা। এই নদীর উপ্তত্তিস্থল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে। সরেজমিন দেখা গেছে, ঝিনাইদহ অংশে বেশির ভাগ নদী জুড়েই অবৈধ স্থাপনা ও শত শত পুকুর রয়েছে। নদীর তীরবর্তী বাজার এলাকায় অবৈধ দোকানপাট ও বাড়িঘর তৈরী করেছে দখলবাজরা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না, জিয়ানগর, বংকিরা, হাজরা, লক্ষিপুর, মোহাম্মদপুর ও গোবিন্দ এলাকায় নদী বক্ষে পুকুর কেটে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কোটচাঁদপুরের তালসার, ইকড়া, কালীগঞ্জ শহরের পুরাতন বাজার, বলিদাপাড়া, হেলাই, নিমতলা, নদীপাড়া ও ফয়লা এলাকায় দখল হয়ে গেছে চিত্রা। নদীর বুকে চাষাবাদ করছে মানুষ। নদীর মাটি কেটে ব্যক্তিগত কাজেও লাগাচ্ছেন কেউ কেউ। কালীগঞ্জ উপজেলার সিংদহ গ্রামে নদীর মধ্যে ৮টি পুকুর কেটে প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করছেন। ফলে এক সময়ের প্রমত্তা নদী চিত্রা তার যৌবন হারিয়ে মৃতপ্রায়। দখলবাজদের কারণে নদীর কোথাও সরু কোথাও মৃত হয়ে হারানো ঐহিত্য নিয়ে দাড়িয়ে আছে। চিত্রা নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ নিয়ে ঝিনাইদহের মানবাধিকার কর্মী অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু জানান, সরকারের এ ধরণের সিদ্ধান্ত খুবই যুগান্তকারী। জেলার নদ-নদীগগুলো বাঁচানোর এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ রাজনৈতিক সরকারের আমলে প্রভাব বিস্তারের আশংকা থাকে। ফলে প্রভাবশালীদের নগ্ন হস্তক্ষেপে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস গত শুক্রবার বিকালে জানান, প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অর্ন্তবতীকালীন সরকার। সেই হিসেবে ঝিনাইদহ জেলায় চিত্র নদীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দখলদারদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। নদীর বেশির ভাগ অংশ কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত। তিনি বলেন, চিত্রা নদীর ৩০ কিলোমিটারে ৯৪টি অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভবণ, পুকুর, দোকান, বাজার, ঝুলন্ত স্থাপনা ও মুরগীর খামার। নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস জানান, হালনাগাদ তথ্য মতে চিত্রা নদীর কালীগঞ্জ অংশে ৬২টি, কোটচাঁদপুরের লক্ষিপুর বাজারে ১১টি ও একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামে ২১টি স্থাপনা ও পুকুর উচ্ছেদের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। আগামী নতুন বছরের শুরুতেই এই উচ্ছেদ অভিযান পারিচালনা করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, নদী, খাল ও বিল সরকারী সম্পাদ। বিশেষ করে ঝিনাইদহের ১২টি নদ-নদী দখল ও দুষনমুক্ত রাখতে পারলে জেলার মানুষ উপকৃত হবেন। এ জন্য প্রথমেই জেলাবাসীকে সচেতনতার পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে।

10 thoughts on “চিত্রা নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত \ ৯৪টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত

  • November 22, 2024 at 6:22 pm
    Permalink

    This paragraph will assist the internet users for creating new
    web site or even a blog from start to end.

    Reply
  • November 22, 2024 at 7:31 pm
    Permalink

    This paragraph will assist the internet people for building up new website or even a blog
    from start to end.

    Reply
  • November 22, 2024 at 9:55 pm
    Permalink

    Good day! I could have sworn I’ve been to this web site before but after looking at
    many of the articles I realized it’s new to me. Anyways, I’m certainly delighted I discovered
    it and I’ll be bookmarking it and checking back frequently!

    Reply
  • November 23, 2024 at 4:35 am
    Permalink

    For most recent news you have to pay a quick visit world wide
    web and on the web I found this site as a best web page for most recent updates.

    Reply
  • November 23, 2024 at 5:19 am
    Permalink

    It’s going to be finish of mine day, except before end I am reading this impressive article to
    increase my experience.

    Reply
  • November 23, 2024 at 8:21 am
    Permalink

    of course like your web site but you need to take a look at the spelling
    on quite a few of your posts. Many of them are rife with spelling problems and I in finding it very bothersome to
    tell the reality then again I’ll certainly come back
    again.

    Reply
  • November 23, 2024 at 12:16 pm
    Permalink

    Situs-situs penipuan biasanya tampilannya mirip banget sama
    situs beneran, jadi kita harus waspada. Jangan kasih data sembarangan kalau
    nggak yakin dengan keamanannya!.

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *